February 18, 2013
February 12, 2013
..‘দীর্ঘ ষোল বছর ধরে আমি কুৎসিত এই বাড়িটিকে চিনি’..
..‘দীর্ঘ ষোল বছর ধরে আমি কুৎসিত এই বাড়িটিকে চিনি’..
“..দীর্ঘ ষোল বছর ধরে আমি কুৎসিত এই বাড়িটিকে চিনি
জ্বলে যাওয়া রঙ, উঠে আসা ইট-পাথর আর ময়লা আবর্জনায়
ঢেকে আছে পায়ে হাঁটা পথ; দুর্গন্ধ এখানে-সেখানে প্রায়
এড়িয়ে যায় সবাই এই দালানটির অস্তিত্ব, চোখ পড়ে গেলে
কখনও দ্রুততার সাথে পরিবর্তিত হয় দৃষ্টি পথচারীর
আস্তানা গেড়েছে এখানে তাই চোর, বদমাশ, নেশাখোর
তবে মাঝে মাঝে দারুণ উপকারে আসে কুকুর-বিড়াল
অথবা তলপেটে আকস্মিক প্রবল চাপ অনুভূত অসহায়দের
ভেঙ্গে পড়া কাঠামো, নেশাগ্রস্তদের অশ্রাব্য গালাগালি আর
বিকট দুর্গন্ধ দালানটিকে করে তুলেছে পোড়োবাড়ি, আবর্জনার ভাগার!
শুনেছি এই দালানটিও ছিল কারও কারও স্বপ্নের আবাসন
দেয়ালে ঘেরা ছিল, নির্ঝঞ্ঝাট ছিল এই দালানটি একসময়
কালক্রমে ভুল হাতের ফুল হয়ে আজ এটি পচা শ্যাওলা
বিশ্বাস হতোনা প্রথমে শুনে যদিও আমি
দীর্ঘ ষোল বছর ধরে কুৎসিত এই বাড়িটিকে চিনি!
সেদিন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো চোখের সামনে
একটা ফুটফুটে তরুণী এসে থামল রিকশায় করে
শেষ বিকেলের কিছু আগে; পাশ কেটে যাওয়ার সময়
মনের অজান্তে চোখ পড়লো তার পায়ের দিকে
যখনই সে তার রজনীগন্ধা পা রাখলো নোংরা
বাড়িটির রাস্তায়, দেখলাম একটু একটু করে সবুজে
ভরে গেল ন্যাড়া দেয়াল; রঙিন হয়ে উঠলো ইট-পাথর
সুন্দর, আকর্ষণীয় হয়ে উঠলো দালানটির ভেঙ্গে যাওয়া
কাঠামো ঠিক যেন জিম ফেরত সন্তুষ্ট তরুণের শরীর
অপসৃয় ছায়া পথ করে দিলো সাজানো বাগানের
দালানটির উপর এসে পড়লো এক অপার্থিব আলো
তরুণীটি পথে নেমে ভারসাম্য রাখতে না পেরে
হাত রাখলো সদর দরজার লোহায়, অনায়াসে
তা রুপান্তরিত হলো লতানো গুচ্ছ ফুলের আঁচলে
দেখলাম দরোজা খুলে যাচ্ছে ধীরে - ভেতর থেকে
ছান্দসিক প্রজাপতির দল ছুটে আসছে উড়ে উড়ে
শুনতে পেলাম মোহনীয় কল-কাকলী, আচ্ছন্ন সুর
ঝাপটা দিলো নির্যাস কাঁঠালচাঁপা, গোলাপ, বকুলের
দেখতে পাচ্ছিলাম না কি ছিল ভেতরে তবু মনে হলো
যা কিছু থাকুক ভেতরে নিশ্চয়ই আছে সাজানো
স্পষ্ট শুনতে পেলাম প্রাণের স্পন্দন কাঙ্ক্ষিত
স্পষ্ট দেখতে পেলাম কুৎসিত বাড়িটি সজ্জিত
তরুণীটি চলে গিয়েছিল তার ঠিকানায় ঠিকই
আমি আজও কুৎসিত বাড়িটিকে সজ্জিত দেখি
চলে গেছে এরপর অনেক বছর যদিও আমি
খুঁজে পাইনি তাকে এখনও - যার পায়ের স্পর্শ
এনে দিয়েছিল সবুজ, দু একটা শব্দ জন্ম দিয়েছিল
আচ্ছন্ন সুর এবং করতলের ছোঁয়া দিয়েছিল সজীবতা
তুমি ছুঁয়ে দিলেই যদি এতো সবুজ হয়
তুমি মুখ খুললেই যদি এতো সুর হয়
তুমি তাকালেই যদি এতো প্রাণ হয়
তরুণী, আমি আছি এবং থাকবো
হয়ে আজীবন পূজারী তোমার
আসবে কি এখানে; ধরবে কি জড়িয়ে
বুক একবার, আজকের বাংলার?..’’
February 05, 2013
“..ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের..’’
“..ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের..’’
“..ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের
যারা আরও একটি সম্পূর্ণ দিন ভরিয়ে দিচ্ছেন অবসরে - আমাদের;
যারা হরতালের মাধ্যমে পাহাড়সম দুশ্চিন্তা থেকে
এক দিনের মুক্তি দিলেন - মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের!
যারা মহাসড়কে একত্রিত হয়ে
পবিত্র শ্লোক উচ্চারণ করে
অন্ধকারের মতো ছড়িয়ে দিলেন বীভৎস হুংকার;
দিনের শেষে রাতের মতো
দহন শেষে জ্বলনের মতো
মনে করিয়ে দিলেন -
মুক্তিযুদ্ধে হারানোর ব্যাথা কেবলমাত্র কিছু মানুষের;
এ ক্ষত নয় সবার!
ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের
যারা মনে করেন অবোধ আমরা শিশু এখনও
ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের
যারা মনে করেন স্তনের বদলে ফিডার মুখে গুঁজে দিলে
আমরা বুঝতে পারবনা কখনও!
ধন্যবাদ সহযোগে একটি তথ্য জানাতে চাইছি তাঁদের
রাজনীতি, অর্থনীতি, বেশ্যানীতি, দৃশ্যনীতি
সবকিছুই হয়তোবা জানা আপনাদের
তবু জেনে রাখবেন - ২১৪ বছরের পরাধীনতার
বুক মোচড়ানো ইতিহাস শুনে বড় হয়েছি আমরা -
এ দেশ কারও বাবারও নয়, কারও স্বামীরও নয়
নয় কারুকাজ করা লাঠি - রক্তের ফল্গুধারা ঝরিয়ে
ওযু শেষে আপাত পবিত্র হাতের;
একবার, যদি একবার সুযোগ আসে মাতৃভূমির ঋণ শোধের -
যে ছেলেটির আঙুল সারাদিন ছুটে বেড়াচ্ছে
কিবোর্ডে, ফেসবুকে;
যে মেয়েটির দুচোখ সারাদিন ঘুরে বেড়াচ্ছে
টেলিভিশনের পর্দায়, হিন্দি সিরিয়ালে;
এক মুহূর্তও নষ্ট না করে ঝাঁপিয়ে পড়বে দেশ রক্ষার্থে -
থাকবেনা পড়ে পিঠ, কোনও বিছানায়
এই নতুন প্রজন্মের!..’’
“..ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের
যারা আরও একটি সম্পূর্ণ দিন ভরিয়ে দিচ্ছেন অবসরে - আমাদের;
যারা হরতালের মাধ্যমে পাহাড়সম দুশ্চিন্তা থেকে
এক দিনের মুক্তি দিলেন - মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের!
যারা মহাসড়কে একত্রিত হয়ে
পবিত্র শ্লোক উচ্চারণ করে
অন্ধকারের মতো ছড়িয়ে দিলেন বীভৎস হুংকার;
দিনের শেষে রাতের মতো
দহন শেষে জ্বলনের মতো
মনে করিয়ে দিলেন -
মুক্তিযুদ্ধে হারানোর ব্যাথা কেবলমাত্র কিছু মানুষের;
এ ক্ষত নয় সবার!
ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের
যারা মনে করেন অবোধ আমরা শিশু এখনও
ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের
যারা মনে করেন স্তনের বদলে ফিডার মুখে গুঁজে দিলে
আমরা বুঝতে পারবনা কখনও!
ধন্যবাদ সহযোগে একটি তথ্য জানাতে চাইছি তাঁদের
রাজনীতি, অর্থনীতি, বেশ্যানীতি, দৃশ্যনীতি
সবকিছুই হয়তোবা জানা আপনাদের
তবু জেনে রাখবেন - ২১৪ বছরের পরাধীনতার
বুক মোচড়ানো ইতিহাস শুনে বড় হয়েছি আমরা -
এ দেশ কারও বাবারও নয়, কারও স্বামীরও নয়
নয় কারুকাজ করা লাঠি - রক্তের ফল্গুধারা ঝরিয়ে
ওযু শেষে আপাত পবিত্র হাতের;
একবার, যদি একবার সুযোগ আসে মাতৃভূমির ঋণ শোধের -
যে ছেলেটির আঙুল সারাদিন ছুটে বেড়াচ্ছে
কিবোর্ডে, ফেসবুকে;
যে মেয়েটির দুচোখ সারাদিন ঘুরে বেড়াচ্ছে
টেলিভিশনের পর্দায়, হিন্দি সিরিয়ালে;
এক মুহূর্তও নষ্ট না করে ঝাঁপিয়ে পড়বে দেশ রক্ষার্থে -
থাকবেনা পড়ে পিঠ, কোনও বিছানায়
এই নতুন প্রজন্মের!..’’
..‘এলোমেলো ১ - ৫’..
..‘এলোমেলো ১ - ৫’..
..‘এলোমেলো-১’..
“..এখনও শরীর বকুলতলা
গন্ধে তোমার;
এখনও দুচোখ টইটম্বুর
স্বপ্নে তোমার !..’’
..‘এলোমেলো-২’..
“..কি দারুন বিষাদ
কি প্রগাঢ় শূন্যতা;
শ্রুত হয় তোমার শুধু
অনুভূত হয় না!..’’
..‘এলোমেলো-৩’..
“..ওরা গেছে চলে
স্থাপত্য দেখবে বলে;
আমার চোখে সৌন্দর্য
তোর নগ্ন দেহের ভাস্কর্য!..’’
..‘এলোমেলো-৪’..
“..আমার দেশে দারিদ্র না থাকলে
আমি শুধু শীতকেই ভালবাসতাম;
আমার মধ্যে কবিত্ব না থাকলে
আমি শুধু তোর কাছেই ছুটে আসতাম!..’’
..‘এলোমেলো-৫’..
“..আজ আকাশে কোনও তারা নেই
শুধু জ্বলছে চাঁদ খুব একাকি;
ডুবে আছে ঘুমে তোমার দুচোখ
ছুঁয়ে এসেছি ঠোঁটে চুপি চুপি!..’’
Subscribe to:
Posts (Atom)