August 25, 2013

..‘এলোমেলো ১ - ৫’..

..‘এলোমেলো ১ - ৫’..

..‘এলোমেলো-১’..

“..শান্ত আমি হিংস্রতর
তোমার নগ্ন বুকে;
ধীবর আমি সাঁতার ভুলি
তোমার কাজল চোখে!..’’

..‘এলোমেলো-২’..

“..যদিও সময় চলে যায় দ্রুত
ঘড়ির কাঁটা ছুঁয়ে;
আমার দু’হাত ফিরে আসে শুন্য
তোমাকে, শুধু তোমাকে না পেয়ে!..’’

..‘এলোমেলো-৩’..

“..স্বপ্নগুলো উড়িয়ে দিলাম
রঙিন বেলুন যতো;
মেঘে মেঘে পড়ুক ঝরে
বুক ভরাবো কতো!..’’

..‘এলোমেলো-৪’..

“..তুমি নেই তাই স্বপ্নহীন
ঘরের প্রতিটি কোণ;
পাল্লা দিয়ে ধ্যানী বৃদ্ধ
হয়েছে মুঠোফোন!..’’

..‘এলোমেলো-৫’..

“..আমার কাছে চুম্বনের অর্থ –
আত্মসমর্পণ;
আলিঙ্গনকে তাই মনে হয় –
অঞ্জলি অর্পণ!..’’
 

August 15, 2013

..‘এলোমেলো ১ - ৫’..

..‘এলোমেলো ১ - ৫’..

..‘এলোমেলো-১’..

“..চাইছি ভীষণ বৃষ্টি নামুক
দৃষ্টি ভাসুক জলে;
নির্ঘুম রাত বাঁধা পড়ে থাক
উষ্ণ তোমার আঁচলে!..’’

..‘এলোমেলো-২’..

“..তবু যেন অতৃপ্তি
জেগে থাকে বুকে;
পিপাসা রয় অনন্ত
অভ্যন্তরে, ঠোঁটে!..’’

..‘এলোমেলো-৩’..

“..কম্পিত ঠোঁট, স্পন্দিত বুক
অথবা শুভ্র দু’পা;
তারচেয়েও বেশী প্রয়োজন
তোমাকে - অনাঘ্রাতা!..’’

..‘এলোমেলো-৪’..

“..রিমঝিম বর্ষায় কিংবা
টুপটাপ জোসনায়
খুঁজে না পেলে কাজলে ঢেকো চোখ
পাবে খোলা চুলে - আয়নায়!..’’

..‘এলোমেলো-৫’..

“..আঁচল তোমার বিছিয়ে রেখো
রাত-গভীরে আমি আসবো;
অভিমানী ঠোঁট ভিজিয়ে রেখো
পিপাসার্ত আমি ভালবাসবো!..’’

August 04, 2013

..‘তোমার উপস্থিতি আমার কাছে ভীষণ রকমের অন্য কিছু’..

..‘তোমার উপস্থিতি আমার কাছে ভীষণ রকমের অন্য কিছু’..

“..তোমার উপস্থিতি আমার কাছে ভীষণ রকমের অন্য কিছু
তোমার নাম; নামের অক্ষর – তোমার ছায়া; ছায়ার ভেতর
অপসৃয় কোথায় যেন মন্ত্রমুগ্ধ আমার শব্দ, আমার মনন
তোমার দাঁড়ানো জায়গাগুলো আলোকিত – অন্য রকম
তোমার হেঁটে যাওয়া পথ স্নিগ্ধ সবুজ – বসন্ত যেমন
স্থান–কাল–পাত্র অস্তিত্বশীল – শুধু তুমি আছো বলে
পৃথিবীর পরিক্রমণ, দিনরাত্রির আগমন বয়ে চলে
পায়ের ছাপ ধরে – রক্তে আমার – আমার শ্রবণে
ভাঙা চুড়ির শব্দে কণ্ঠ তোমার – বন্ধ চোখের অন্ধ পর্দায়
আর কোনও মুখ নেই – আছে শুধু নরম অবয়ব তোমার
সেই গন্ধ, সেই বিভা ছড়ায় যখন একাকী ঘরে
আমি আবৃত্তি করি প্রিয় কবিতা ঘুরে তোমায় বৃত্তাকারে
কখনও আঙুল আমার দিক বিভ্রান্ত হয় আঁধার চুলে
কখনও অধর আমার পিপাসার্ত ডাহুক আদ্র ঠোঁটের অনলে
কখনও শরীর ঝরে পড়ে শুকনো পাতায় তোমার আঁচলে

আর কোনও কবিতা নেই তোমার চোখের মতো দুর্বোধ্য এতো
কোনও স্থাপত্য নেই আকর্ষণীয় যতোটা তোমার সৌকর্য
আমার স্বপ্ন-অভিমান-রোগ-শোক-জরা-ব্যাধি অথবা সময়
তোমার পদ্মপাপড়ি দু’পায়ের শুভ্র – স্বার্থহীন আয়নায়
প্রতিফলিত করে আলাদা রেখে দেয় – খুলে ফেলে মুখোশ
শব্দ–স্বপ্ন–ছন্দ হারানো কোনও এক ভীষণ অসহায়
প্রতিটি লোমকূপ – স্বেদ জমা উষ্ণ অঙ্গ–প্রত্যঙ্গের নীলিমায়
খুঁজে ফেরে হারানো–লুকানো–বিলানো অস্তিত্ব আমার
অবশেষে শ্রান্ত ছোট্ট নৌকা হয় কম্পিত শরীর আমার
বাঁধা পড়ে অচেনা ভুমির মসৃণ অনাঘ্রাতা নদীতটে
খুব সাবধানে এগিয়ে যাই টলোমলো ভীত দু’পা ফেলে
জোনাকির মতো জ্বলে জ্বলে আলোর মশাল জ্বেলে
দু’চোখ তোমার নিয়ে যায় আমায় অতল গহ্বরে

বাতাসে ভেসে বেড়ায় গন্ধ তোমার – তোমার উপস্থিতির ধূপ
অন্ধ-মূক-বধির আমি; প্রণয়ের গুঞ্জরিত মৌমাছি - চুপ!..”