..'তারে হলো না বলা’..
“..তার চাঁদের আকাশ ফাঁকা
অসংখ্য ক্ষণজন্মা নক্ষত্রবীথিকায়
বিশাল কালো এক পুস্তক হয়ে
আকাশ তার মরা জোছনায় ঢাকা
অনিমেখ তার অপেক্ষমান চোখে
তারাদের ক্ষয়ে যাওয়া
অতঃপর, কৃষ্ণ-গহ্বর হওয়া ;
স্বনির্বাচিত তার শান্ত জলেতে
কখনও খসে যাওয়া পাতাদের ঝরে পড়া
আর, দু একটা জোরালো স্মৃতির ঘাই দেয়া
যেন জল-চাদরকে মৃদু আন্দোলিত করা !
এ শহর তার কাছে প্রবল ঋণী
কতো অজস্র প্রেমিক-পুরুষ
তার অপেক্ষায় – রুপান্তরিত আজ ‘গাছ’-এ ;
কতো অজস্র প্রেমিক-পুরুষ
তার অনাদরে –
নোংরা জলেতে ফুল হয়ে আজ ভাসে !
কোথাও সে স্থিরতা পায়নি তবুও
পায়নি সে আস্থা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে
অথবা নিবিড় বন্ধনে বাঁধা বলিষ্ঠ লোমশ বক্ষে
হয়তো বোঝেনি তার চাওয়াকে
হয়তো বোঝার ভুলে
ক্যানভাস তার দ্বিধান্বিত হল
অচেনা রং-তুলির ছোবলে !
অযাচিত প্রাপ্তির গাঢ় কুয়াশায়
আজ সে গভীর একা
ঠিক যতটা সুবিন্যাস্ত চুলের মাঝে
থাকে একাকী সিঁথির রেখা !
সে আজও বুঝি জানে না
পৃথিবীর বুকে আছে মানবী যত
তাদের সবাই মানসী হয় না ;
সে বুঝি আজও জানে না
নিক্ষিপ্ত আলোয় আপাত দীর্ঘ যে ছায়া
তার স্থায়িত্ব তত দীর্ঘ না !
কতবার তাকে বলতে চেয়েছি
বুঝি তাই আজও তাকে বলা হল না –
‘তার চেয়ে বরং বেশ্যা ভালো
জনে জনে সে দেহ বিক্রি করে ঠিকই
কিন্তু মন বিক্রি করে না !’..’’
No comments:
Post a Comment