May 30, 2012
May 28, 2012
..‘এলোমেলো ১ - ৬’..
..‘এলোমেলো ১ - ৬’..
..‘এলোমেলো-১’..
“..ঘুমিয়ে গেলেও ঘুম ভাঙ্গিয়ে
ঘুম পাড়াতে যাকে;
তুমি কি জানো, তুমি নেই বলে
ঘুম নেই তার চোখে !..’’
..‘এলোমেলো-২’..
“..ভালোই যদি বাসো এ দুচোখ
কেন তাদের ঝরাও এতো?
দেখতে কি চাও এই দুচোখে
তোমার জায়গা কতো ?..’’
..‘এলোমেলো-৩’..
“..রাগ করে অভিমানী
দিন কাটালি কথা-হীন;
রাত কাটাবি কিভাবে
বুক থাকলে আমি-হীন !..’’
..‘এলোমেলো-৪’..
“..আর কখনও বোলনা তুমি
আমার বাসায় যাবে;
ঘুম হবেনা আমার,
শুধুই স্বপ্ন দেখা হবে !..’’
..‘এলোমেলো-৫’..
“..হঠাৎ করেই তপ্ত রোদে
বইলো বাতাস শীতল;
ভুল করে কি চুল থেকে তুমি
সরিয়ে ছিলে আঁচল ?..’’
..‘এলোমেলো-৬’..
“..অবশ করতে আমাকে তুই
খুঁজছিস কি প্রিয়া?
তোর কণ্ঠই তো আমার জন্য
ভোকাল এনেস্থেশিয়া !..’’
May 26, 2012
..'তিন ‘অ’ – এর সমষ্টি আমি এখন'..
..'তিন ‘অ’ – এর সমষ্টি আমি এখন'..
“..ওষ্ঠরঞ্জনীর মতো বদলে যাচ্ছে
ক্যালেন্ডারের পাতা, একটি একটি করে
চির চেনা আমার এই আমাকে
চিনছি আবার নতুন শব্দের ভিড়ে
হেঁটে গিয়েছি, ছুটে গিয়েছি
পুড়ে গিয়েছি – কেঁদে ফিরেছি
শিল্প, সত্য, সুন্দরকে একটু ছোঁব বলে
হারিয়েছি অনেক, বিলিয়েছি অনেক
অনেকবার আহত এবং নিহত হয়েছি
একটু শিল্পী, একটু ধ্রুব, একটু সুন্দর হব বলে!
সময় আজ আমার মুখে প্রদীপ তুলে ধরে;
চির চেনা আমার এই আমিকে
চিনছি আবার নতুন আলোর ভিড়ে
কোনও উৎসব, অনুষ্ঠান, একত্রীকরণ ভালো লাগে না
ভালো লাগে না সৌহার্দের রঙে আঁকা মুখোশের মাঝে থাকা
অর্থহীন, ভঙ্গুর, প্রাচীন, দ্যার্থক নিয়মগুলো মেনে চলা
এরচেয়ে বরং ভালো লাগে আমার বারান্দায় বসা
চঞ্চল, স্পন্দিত চড়ুইয়ের সাথে একা একা কথা বলা
আমি এখন খুঁজি না বুড়ো, একগুঁয়ে নীতি
খুঁজে ফিরি সমাজ – সহজ, মহাকালিক
তাদের ভাষায় তাই – আমি অসামাজিক!
ভালো লাগে না কৃত্রিম শ্রদ্ধা, শারীরিক কম্পন, নির্বাচিত শব্দ
আমার চোখে অনেক বেশি শ্রদ্ধেয় – মেথর, কুলি, শ্রমিকের দল
মিথ্যে শ্রদ্ধা, প্রশংসা, স্তাবকতার শব্দগুচ্ছ আমার ভেতরে
মরে যায়, শুকনো পাতার মতো শুধু ঝরে পড়ে
ওঁরা জানে, ওঁরা বোঝে ‘সভ্যতা’ কি
বুঝতে চেয়েছি অনেক তবু আমি বুঝিনি
সভ্যতার মিথ্যা সংজ্ঞা, মিথ্যা রুপ আমার কাছে দুর্বোধ্য
ওঁদের ভাষায় তাই – আমি অসভ্য!
তুমি সুন্দর, আর আমি পছন্দ করি সৌন্দর্য
তোমার জন্য তাই অনেক দেখে-শুনে
অনেক দাম দিয়ে একটি দুর্লভ
পরিশ্রমের সুতোয় বোনা,
দুচোখের স্বপ্নের রশিতে টানিয়ে শুকানো,
বুকের উষ্ণতায় ভাঁজ করা মসলিনের শাড়ি
হাতে তুলে দিয়ে বললাম –
‘একদিন না পড়ে এসো, দেখবো;
তুমি হবে ফোটা পদ্ম যখন আমার দুচোখ
হবে বিস্মিত ঝিল!’
তিনটি শব্দের বদলে দুটি শব্দ একত্রিত করে
তুমি বললে – আমি অশ্লীল!
এখন আমি আর খুঁজি না
জলের তলে জলের তোড়ে জলজ স্রোতে – ঢেউ
এখন আমি আমার কাছে
একটা নতুন কেউ
এখন আমি খুঁজে বেড়াই
মাছের লেজের দোলার সাথে ভাঙ্গা রুপার ঝিলিক;
তিন ‘অ’ – এর সমষ্টি আমি এখন
তাদের, ওঁদের, তোমার ভাষায় –
‘অশ্লীল’, ‘অসভ্য’ এবং ‘অসামাজিক’!..”
May 23, 2012
..‘এলোমেলো ১ - ৭’..
..‘এলোমেলো ১ - ৭’..
..‘এলোমেলো-১’..
“..মুটিয়ে
যাস আর শুকিয়ে যাস
তোকেই আমি চাই;
তোর বুকের মতো নিরাপদ আশ্রয়
আর যে কোথাও নাই !..’’
..‘এলোমেলো-২’..
“..ওঁরা
তো শুধু তোর নাম বলে কথা করে শেষ
আমার ভেতরে তবু রয়ে যায় রেশ
ওঁদের জন্য তুই শুধু বান্ধবী
আমার জন্য তুই সারা পৃথিবী !..’’
..‘এলোমেলো-৩’..
“..পান
করো শুধু আমাকেই তোমার দুচোখ দিয়ে
আমিও করছি একই প্রতিজ্ঞা ঐ চোখে
চোখ রেখে;
তাও যদি না পারো
রাখো অধর আমার অধরে আর কিছু না
ভেবে,
প্রতিজ্ঞা করছি –
ছোঁয়াবো না সিগারেট
কখনও আমার ঠোঁটে !..’’
..‘এলোমেলো-৪’..
“..বোরকায়
সারা শরীর
রেখেছিস ঢেকে;
তাই বুঝি এতো কথা
খোলা দুই চোখে !..’’
..‘এলোমেলো-৫’..
“..বেড়াতে
যাচ্ছিস দুই দিনের জন্য
সমস্যা নেই তাতে;
ভাবছি শুধু –
ঘুম ভাঙ্গা চোখ
খুলবো কার চুমুতে !..’’
..‘এলোমেলো-৬’..
“..প্রিয়া,
চুপি চুপি আজকে
তোমায়
একটি অপ্রিয় সত্য বলি –
‘তুমি
শিখেছ শুধু ভালোবাসা পেতে
ভালবাসতে শেখো নি !’..’’
..‘এলোমেলো-৭’..
“..'ভালোই
যদি বাসো এ দুচোখ
কেন তাদের ঝরাও এতো?'
'দেখবো বলে ঐ দুচোখে
আমার জায়গা কতো !'..’’
May 19, 2012
..‘এলোমেলো ১ - ৬’..
..‘এলোমেলো ১ - ৬’..
..‘এলোমেলো-১’..
“..রাত্রি এসে ঝুঁকে
নারীর মতো বুকে;
তখন আমার ঠোঁটে
না বলা কথা ফোটে !..’’
..‘এলোমেলো-২’..
“..নীরবতা ছাড়া আমার
বান্ধবী নেই কোনও;
ওঁর বুকেই লুকাবো মুখ
তুমি চলে গেলে কখনও !..’’
..‘এলোমেলো-৩’..
“..তোমার মাঝে আর নেই আমি
বুঝে গেছি তখনই;
কাজল-ছাড়া দুচোখ নিয়ে
এসে দাঁড়ালে যখনই !..’’
..‘এলোমেলো-৪’..
“..মিষ্টি খাই না আমি
শুনে কষ্ট পেয়েছো তুমি;
বোকা মেয়ে,
কিভাবে বোঝাই তোমাকে
এ পৃথিবীর যত তীব্রতম মিষ্টি
আমি পেয়েছি তোমার ঠোঁটে !..’’
..‘এলোমেলো-৫’..
“..অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্র-সৈকত
দেখে এসে বুঝলাম – সৌন্দর্য কি;
এলোমেলো হলো সব, চশমা খুলে
তুমি চোখ তুলে তাকালে যখনই !..’’
..‘এলোমেলো-৬’..
“..আমার একটি অনুরোধ শোন –
বৃষ্টিতে ভিজো না তুমি আর কোনদিনও;
না যেন ছোঁয়, তোমার সারা শরীর
আমার মতো করে কেউ, কখনও !..’’
May 16, 2012
..'তোমার আঠারোতম জন্মদিন চলে গেল গতমাসে'..
..'তোমার আঠারোতম জন্মদিন চলে গেল গতমাসে'..
“..তোমার আঠারোতম জন্মদিন চলে গেল গতমাসে
তোমার পছন্দমতন একটি উপহার দেবো বলে
ঘুরে বেড়িয়েছি আমি অনেকটা পথ
খুঁজে পাইনি কিছু, আমাদের এ শহরে
অনেক কিছুই বদলে গেছে !
তুমি ‘নিশ্চয়তা’ পছন্দ করো –
তাই তোমার জন্য ‘নিশ্চয়তা’ খুঁজতে গিয়ে
দেখলাম, চাঁদমামার মতো পরিচিত
ঐ দুই মহিলার লালরঙা পেটিকোট থেকে
সোনালীরঙা তাদের নেমপ্লেট ঠিকই আছে
বাদ-বাকি অন্য সবকিছুর নিশ্চয়তা বদলে গেছে !
তুমি ‘প্রজ্ঞা’ পছন্দ করো –
তাই তোমার জন্য ‘প্রজ্ঞা’ খুঁজতে গিয়ে
দেখলাম, দুর্বল ব্রেকওয়ালা গাড়িতে যেমন
হর্নের আওয়াজ বেশি থাকে; ঠিক তেমনি
শূন্য মস্তিষ্ক কাঁধে নিয়ে মুখে হাইড্রলিক হর্ন
বাজানোদের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে গেছে;
নামের আগে-পরে ডিগ্রীর ধারাবাহিকতা ঠিকই আছে
কিন্তু ‘প্রজ্ঞা’র সংজ্ঞা বদলে গেছে !
তুমি ‘সৌন্দর্য’ পছন্দ করো –
তাই তোমার জন্য ‘সৌন্দর্য’ খুঁজতে গিয়ে
আমি ছুটে গিয়েছি উন্মুক্ত দুচোখ নিয়ে
সৌন্দর্যের সর্বকালীন ধারক তরুণ প্রজন্মের কাছে
দুচোখে গেঁথে নিয়ে আসতে চেয়েছি
স্নাত, স্বতন্ত্র, স্বতঃস্ফূর্ত, স্বোপার্জিত সৌন্দর্য;
আমার দুচোখে প্রতিফলিত হয়েছে
তাদের ঋণগ্রস্ত সুন্দর, ঋণাত্মক সৌন্দর্যবোধ
এবং পরশ্রীকাতর, অন্তঃসারহীন মুগ্ধতা
সৌন্দর্যের প্রতি পিপাসা ঠিকই আছে
কিন্তু সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ বদলে গেছে !
তুমি ‘সত্য’ পছন্দ করো –
তাই তোমার জন্য ‘সত্য’ খুঁজতে গিয়ে
দেখলাম, সত্যের নামে জায়গায় জায়গায় বিক্রি হচ্ছে
ওড়না-বিহীন প্রায় উন্মুক্ত বেঢপ বক্ষযুগল,
চর্বিসর্বস্ব থলথলে উরু, কোমর;
কারুকার্যমণ্ডিত বিশাল জাঁকালো টুপি, সুরমা, দাড়ি
পুঁজে ভরা, বমিতে মোড়া অজস্র মিথ্যে আশ্বাস
অণ্ডকোষে প্রচণ্ড লাথি খেয়ে
‘সত্য’ এখানে ঠিকই রাস্তায় পড়ে আছে
কিন্তু সত্যের সত্ত্বা বদলে গেছে !
তোমার ‘নিশ্চয়তা’ খুঁজে না পেয়ে
আমার বোধ আজ নির্জীব, পক্ষাঘাতগ্রস্থ;
তোমার ‘প্রজ্ঞা’ খুঁজে না পেয়ে
আমার মননে আজ দারুণ রক্তক্ষরণ;
তোমার ‘সৌন্দর্য’ খুঁজে না পেয়ে
আমার দুচোখ আজ জমাট দৃষ্টিহীন;
তোমার ‘সত্য’ খুঁজে না পেয়ে
আমার কণ্ঠ আজ ভয়ানক শব্দহীন !
তোমার আঠারোতম জন্মদিন চলে গেল গতমাসে
তোমার পছন্দমতন একটি উপহার দেবো বলেই বলছি –
‘ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেও অজস্র মেঘদল
পাঁজরে জমা করে উড়ে বেড়াবার ক্ষমতা,
যত্ন করে পাঠালাম তোমার আন্তর ভালোবাসা –
আমার ছোট্ট আকাশ - স্বাধীনতা !’..”
May 10, 2012
..'যদি ফিরিয়ে নিই দৃষ্টি'..
..'যদি ফিরিয়ে নিই দৃষ্টি'..
“..যদি ফিরিয়ে নিই দৃষ্টি
তোমার চুল – চোখ – নাক – ঠোঁট
বুক – পেট – কোমর – আঙুল থেকে
বলো – ফিরিয়ে দেবে লাউয়ের মাচায়
হঠাৎ বাতাসে তির তির করে কাঁপা
সবুজ ডগার মতো নিটোল
আমার প্রথম ভালো লাগা !
যদি ফিরিয়ে নিই দৃষ্টি
তোমার মেঘ – দিগন্ত – বেহালা – বকুল
পর্বত – বাগান – সমুদ্রতট – নক্ষত্রবীথি থেকে
বলো – ফিরিয়ে দেবে শুধু অধরের কাছে
সতীত্ব হারানো নিষ্কলঙ্ক আমার ওষ্ঠের
সেদিন শ্রাবণস্নাত সন্ধ্যায় তোমার দু’ঠোঁটে
প্রথম আত্মসমর্পণ এবং প্রথম কেঁপে ওঠা !
যদি ফিরিয়ে নিই দৃষ্টি
তোমার অরণ্য – মেঠোপথ – কৃষিজমি – ধানক্ষেত
অন্ধগলি – রাজপথ – টানা বারান্দা – খোলা ছাদ থেকে
বলো – ফিরিয়ে দেবে শূন্যে ছুঁড়ে দেয়া ছোট্ট শিশুর
কোলে এসে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে দেয়া
প্রাণোচ্ছল হাসির মতো সহজাত
তোমার ভেতরে প্রথম প্রবেশ এবং
আমার প্রথম হারিয়ে যাওয়া !
যদি ফিরিয়ে নিই দৃষ্টি
তোমার ঘোমটা-টানা রহস্যময়
মোমের আলোয় স্নিগ্ধ,
ক্ষয়িষ্ণু বাহ্যিকতা থেকে
বলো – ফিরিয়ে দেবে;
বলো – ফিরিয়ে দেবে তোমার প্রথম আশ্বাস
আমি প্রতিজ্ঞা করছি – ফিরিয়ে নেবো দৃষ্টি
শুধু একবার বলো – আমাদের চুম্বনে
ঝরবে শুধু নিঃস্বার্থ আহ্বান;
সেখানে থাকবে না কোন দীর্ঘশ্বাস !..”
May 02, 2012
..‘এলোমেলো ১ - ৫’..
..‘এলোমেলো ১ - ৫’..
..‘এলোমেলো-১’..
“..শুনলাম তুমি নাকি তারা হয়েছো
নষ্ট মেঘেদের আকাশে;
অতৃপ্ত ছিল আমার ছোট্ট আকাশের চাঁদ
আমি বুঝলাম অবশেষে!..’’
..‘এলোমেলো-২’..
“..বুকে ব্যাথা হলেই
আমার কথা মনে পড়ে তোর,
ফুচকাতে ঝাল; নাকি শুন্যতা আমার?
বুঝিনা কার বেশি জোর!..’’
..‘এলোমেলো-৩’..
“..আমার ঠোঁটেই হয় যেন শুধু
তোমার অশ্রু বর্ষণ;
বিজ্ঞান বুঝি না, শুধু বুঝি –
এটাই মাধ্যাকর্ষণ!..’’
..‘এলোমেলো-৪’..
“..‘চাই তোমাকে সিগারেটের মতো’
শুনে গিয়েছ রেগে;
বোঝনিতো তুমি, বলতে চেয়েছি –
‘চাই তোমাকে ঠোঁটে’!..’’
..‘এলোমেলো-৫’..
“..বুঝিনি প্রথমে – তোর চোখের কাজল
কেন লাগালি আমার ঠোঁটে?
বুঝলাম পরে, বললি যখন –
‘যাতে নজর না দেয় লোকে’!..’’
May 01, 2012
..'আমার ভেতরে কাঁদে অন্ধ সুন্দর এক'..
..'আমার ভেতরে কাঁদে অন্ধ সুন্দর এক'..
".. আমার ভেতরে কাঁদে অন্ধ সুন্দর এক
কাঁদে নিরবে, কাঁদে নিভৃতে
আমার বাহির কেঁপে ওঠে থরোথরো
তাদের কান্নায়, জড়োসড়ো
আমার আন্তর অনুভূতি জেগে ওঠে
ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরিত
লাভা হয়ে ছড়ায় স্তবকে স্তবকে!
আকাশ আমার
বেদনায় নীল আকাশে-মননে
দৃষ্টি আমার
আদ্রতায় ঝাপসা দহনে-কম্পনে
তোমাদের সুন্দর রক্তাক্ত করে
প্রতিনিয়ত আমার ভেতরে;
প্রতিনিয়ত আমার ভেতরে
তোমাদের সুন্দর রক্তাক্ত করে
মেঘেদের গ্রিনরুমের পেছনে
যখন সাজগোছে ব্যাস্ত আমার স্নিগ্ধ চাঁদ
অজস্র চোখ ধাঁধানো আলোক তোমাদের
তাকে বিবস্ত্র করে ফাঁসিতে ঝোলায়;
সবুজ প্রান্তরের আঁচলে
যখন একটি একটি ফুল, পাতা ঝরে
অমল এক পুষ্পার্ঘ্য তৈরি করে
দুর্বিনীত তোমাদের কাঁটাওয়ালা লতা
তাদের কণ্ঠনালী চেপে ধরে;
আমার চাঁদ ফ্যাকাসে, নিথর – ঝুলে আছে বিবস্ত্র
চোখে নিয়ে অসমাপ্ত কাজল
আমার ফুল স্তম্ভিত, নিষ্প্রাণ – পড়ে আছে এলোমেলো
অধরে নিয়ে আঁচড়ের শতদল!
তোমাদের সুন্দর উদ্ধত, হিংস্র প্রতিফলনে সর্বগ্রাসীতা
সুন্দর আমার সত্য, আরাধ্য নিনীষায় বিমূর্ততা!
তোমাদের সুন্দর রক্তাক্ত করে –
কাঁদে নিরবে, কাঁদে নিভৃতে
কাঁদে অন্ধ সুন্দর এক আমার ভেতরে;
সুন্দর আমার রক্তাক্ত হয়ে কাঁদে -
যখন কুৎসিতকে ডাকো ‘সুন্দর’ নাম ধরে!.."
Subscribe to:
Posts (Atom)