July 31, 2012
July 27, 2012
“..উত্তর..”
“..উত্তর..”
“..বলতে পেরেছি যা, হয়েছে সেগুলো কথা
বলতে যা পারিনি – হয়েছে তা কবিতা ;
আর যা চেয়েছি রাখতে মনে
সযতনে তুলে
সংগোপনে গান হয়েছে কবিতার শরীর ছুঁয়ে
চাপা গুনগুনে !
আর তো কিছু নেই, কি দেবো তোমায় ?
আছে শুধু পিপাসা, অন্তহীন নিনীষা
দৃষ্টি, বোধ, শ্রবণের আলো-ছায়া জুড়ে
একটা ছোট্ট ‘তুমি’-র আসা ঘুরে - ফিরে !..”
July 17, 2012
“..আমি খুব সম্ভবত মারা যাবো..”
“..আমি খুব সম্ভবত মারা যাবো..”
“..আমি সম্ভবত নির্বাসিত হবো সমাজ থেকে খুব দ্রুত
আমি সম্ভবত বিদায় নেবো হবার আগে জীবন্মৃত !
বন্ধুরা মিলে যখন আড্ডা দিই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবসরে
সামনে দিয়ে যাওয়া অপ্সরীদের ঢেউ খেলানো বুক হয়তো
পড়ে কারও চোখে অথবা হয়তো নিটোল কোমর ক্রমহ্রাসমান
মুহূর্তের মধ্যে তারা জন্ম দেয় আবেগি উপমা, অতুলনীয় শব্দগুচ্ছ
কিন্তু আমি তাকিয়ে থাকি নিস্পলক তার জুতোজোড়ার
ভেতরে থাকা স্নিগ্ধ পদ্মফুলের দিকে, তার নাকের ডগায়
সূর্যালোকে দীপ্ত এক বিন্দু মুক্তোর দিকে, তার এলো চুলে
চমকানো অবিন্যাস্ত চন্দ্র সিঁড়ির দিকে,
আমি দু’চোখ ভরে দেখি তৃপ্ত পথের ধুলিকনা
দেখি রুক্ষ সূর্যালোক আদ্র
দেখি এলোমেলো বাতাস ভীষণ ভাবে মুগ্ধ
আমি দু’চোখ ভরে দেখি সৌন্দর্য – সৃষ্টি ও স্রষ্টায় !
আমি খুব সম্ভবত অন্ধ হবো –
অমল কোন সৌন্দর্য দেখতে না পারার ব্যর্থতায় !
সবাই যখন খুব প্রশংসা করে কোন গানের
উচ্ছ্বসিত হয়ে বার বার বলে তার সঙ্গীতায়োজনের কথা,
তার গায়ক অথবা গায়িকার কথা, তার দৃশ্যায়নের কথা
আমি কান পেতে শুনি একেকটি বাদ্যযন্ত্রের কথা
শুনি গীতিকারের প্লাবিত বুকের ব্যথা, শুনি প্রতিধ্বনি,
হাহাকার – তৃপ্তি সুরকারের, খুঁজি কতোটা বিরহী কোকিলের মতো
কতোটা আশাবাদি চাতকের মতো - গায়ক অথবা গায়িকা
আমি কান পেতে শুনি মূর্ছনা – আকাঙ্ক্ষিত চঞ্চলতায় !
আমি খুব সম্ভবত বধির হবো –
নৈব্যক্তিক কোন কবিতা শুনতে না পারার অস্থিরতায় !
পরিচিতরা যখন খুব গর্ব বোধ করে অনর্গল
বলতে পেরে অর্থহীন কথা, মিথ্যে স্তাবকতা
স্বল্প জ্ঞান আর হাতে গোনা কিছু শব্দ-বাক্য
সম্বল যাদের আজকাল, গলার রগ ফুলিয়ে
তারা যখন ছায়া খেয়ে বেঁচে রয় হলুদ চারার মতো
এবং নিজেদের ভাবে অদ্বিতীয়, দুর্লভ বাগ্মি
আমি উইপোকার মতো নিঃশেষ করি ইতিহাস
কেঁচোর মতো খুঁড়ে যাই নবাগত শব্দ-বাক্যের ভূমি
কাকের মতো ঠুকরে বের করি মুখোশের ভেতরে যার বসবাস
আমি কেঁপে উঠা কণ্ঠে নির্লিপ্তভাবে বলি
বক্তার সফলতা আলোকিত – নির্মোহতায় !
আমি খুব সম্ভবত বোবা হবো –
ধ্রব কোন সত্য বলতে না পারার অক্ষমতায় !
আমার ব্যর্থতা, অস্থিরতা, অক্ষমতা
আজকাল আমাকে খুব ভাবায়;
আমি মনে হয় না মারা যাবো
অন্যেরা যেভাবে মারা যায়
আমি খুব সম্ভবত মারা যাবো
প্রিয় তোমাদের অবহেলায় !..”
July 02, 2012
“..অপেক্ষায় আছি এবং থাকবো..”
“..অপেক্ষায় আছি এবং থাকবো..”
“..শেষ কবে তোমার কলেজের সামনে
রিকশা পাবার অপেক্ষাতে হেঁটে যাবার সময়
ব্যস্ত বিকেলকেও মনে হয়েছে সেই স্নিগ্ধ সন্ধ্যা
যেদিন তুমি আর আমি পাশাপাশি হেঁটেছিলাম
কিছুটা দূরত্ব রেখে এবং বার বার অবাক হচ্ছিলাম
যখন কিছুক্ষন পর পর আমাদের মাঝখানে
উপর থেকে ঝরে পড়ছিল কাঠগোলাপ থোকায় থোকায় ?
বৃষ্টির শব্দ শুনেই শেষ কবে ছুটে গিয়েছ
মুঠোফোনের কাছে; অস্থির আঙুলে লিখেছ ক্ষুদেবার্তা –
‘বৃষ্টির এক ফোঁটাও যেন শরীরে না পড়ে, জ্বর আসতে পারে!’
এবং পরক্ষনেই মুছে ফেলে ছুঁড়ে দিয়েছ বিছানায়
সেই ফোন, যার মাউথ স্পিকারে অজস্রবার
ঐ নরম দু’ঠোঁট রেখে পাঠিয়েছ আমায়
আকাঙ্ক্ষিত চুম্বন ইথারে ইথারে ?
শেষ কবে মনে করে আমাদের প্রথম
পাশাপাশি বসার কথা তোমার গানের অনুষ্ঠানে
শিক্ষিকা, বড়ো আপু, বান্ধবীদের দুই সাড়ি ডিঙিয়ে
বাবা-মায়ের পাহারাদার দুই জোড়া চোখ এড়িয়ে
ঠিক আটচল্লিশ মিনিট সাহস সঞ্চয় করে
ছুঁয়ে দিয়েছিলাম বলে আমার তর্জনী
এখনও বিবসনা তোমার অনামিকা;
এবং সেখানে থাকা অদৃশ্য প্রথম স্পর্শের কথা
মনে করে উঠেছ কেঁপে গোপনে গোপনে ?
শেষ কবে আনমনে গাইতে গিয়ে নজরুলের গান
প্রথম দু’লাইন শেষ করে অপেক্ষায় ছিলে
পরের দু’লাইন গাইবো আমি হাল্কা চাপাস্বরে ?
শেষ কবে আমার দেয়া কাজল চোখে দিয়ে
নিঃশ্বাসের সাথে অভিমানকে শুধু সঙ্গী করে
কালো জলে ধুয়ে, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে
যখনই আমার স্মৃতিরা অনুরোধ করেছে
তোমার মনের জানালা খুলে দিতে
নিজেকে দিয়েছ উত্তর বিশতম ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে
দ্বিতীয় স্বরবর্ণ একসাথে বসিয়ে;
অনুচ্চ স্বরে, দৃষ্টি সরিয়ে ?
আমি অপেক্ষায় আছি গুনগুন – তোমার ‘শেষ’ শুনবো বলে;
আমি অপেক্ষায় থাকবো গুনগুন – আবার ‘শুরু’ দেখবো বলে !..”
Subscribe to:
Posts (Atom)