“..অপেক্ষায় আছি এবং থাকবো..”
“..শেষ কবে তোমার কলেজের সামনে
রিকশা পাবার অপেক্ষাতে হেঁটে যাবার সময়
ব্যস্ত বিকেলকেও মনে হয়েছে সেই স্নিগ্ধ সন্ধ্যা
যেদিন তুমি আর আমি পাশাপাশি হেঁটেছিলাম
কিছুটা দূরত্ব রেখে এবং বার বার অবাক হচ্ছিলাম
যখন কিছুক্ষন পর পর আমাদের মাঝখানে
উপর থেকে ঝরে পড়ছিল কাঠগোলাপ থোকায় থোকায় ?
বৃষ্টির শব্দ শুনেই শেষ কবে ছুটে গিয়েছ
মুঠোফোনের কাছে; অস্থির আঙুলে লিখেছ ক্ষুদেবার্তা –
‘বৃষ্টির এক ফোঁটাও যেন শরীরে না পড়ে, জ্বর আসতে পারে!’
এবং পরক্ষনেই মুছে ফেলে ছুঁড়ে দিয়েছ বিছানায়
সেই ফোন, যার মাউথ স্পিকারে অজস্রবার
ঐ নরম দু’ঠোঁট রেখে পাঠিয়েছ আমায়
আকাঙ্ক্ষিত চুম্বন ইথারে ইথারে ?
শেষ কবে মনে করে আমাদের প্রথম
পাশাপাশি বসার কথা তোমার গানের অনুষ্ঠানে
শিক্ষিকা, বড়ো আপু, বান্ধবীদের দুই সাড়ি ডিঙিয়ে
বাবা-মায়ের পাহারাদার দুই জোড়া চোখ এড়িয়ে
ঠিক আটচল্লিশ মিনিট সাহস সঞ্চয় করে
ছুঁয়ে দিয়েছিলাম বলে আমার তর্জনী
এখনও বিবসনা তোমার অনামিকা;
এবং সেখানে থাকা অদৃশ্য প্রথম স্পর্শের কথা
মনে করে উঠেছ কেঁপে গোপনে গোপনে ?
শেষ কবে আনমনে গাইতে গিয়ে নজরুলের গান
প্রথম দু’লাইন শেষ করে অপেক্ষায় ছিলে
পরের দু’লাইন গাইবো আমি হাল্কা চাপাস্বরে ?
শেষ কবে আমার দেয়া কাজল চোখে দিয়ে
নিঃশ্বাসের সাথে অভিমানকে শুধু সঙ্গী করে
কালো জলে ধুয়ে, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে
যখনই আমার স্মৃতিরা অনুরোধ করেছে
তোমার মনের জানালা খুলে দিতে
নিজেকে দিয়েছ উত্তর বিশতম ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে
দ্বিতীয় স্বরবর্ণ একসাথে বসিয়ে;
অনুচ্চ স্বরে, দৃষ্টি সরিয়ে ?
আমি অপেক্ষায় আছি গুনগুন – তোমার ‘শেষ’ শুনবো বলে;
আমি অপেক্ষায় থাকবো গুনগুন – আবার ‘শুরু’ দেখবো বলে !..”
No comments:
Post a Comment