..‘চলে এসো গুনগুন’..
“..প্রতিদিন কতো অযুত-নিযুত মানুষ তোমাকে দেখছে;
কতো অজস্র মানুষের সাথে তোমার কথা হচ্ছে
সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত!
অথচ দেখো – যে শ্রবণ অপেক্ষারত তোমার উষ্ণ প্রশ্বাসের,
স্পন্দিত পা দু’টির টুপ টাপ শব্দের,
কথার মধ্যে হঠাৎ বাচ্চাদের মতো আদুরে গলার,
ঝর্ণার মতো ‘নহে নহে প্রিয়র’,
শীতল হাওয়ার মতো ‘জানিনা তুমি কেমন করে এলে’র –
সে শ্রবণ আজ বঞ্চিত!
যে চোখদুটো অপেক্ষা করতো
তোমার অল্প স্বল্প চুলের দোলার,
সাজ-সজ্জাহীন আকাঙ্ক্ষিত মুখের,
কাজলে ঢাকা নির্ঘুম রাত কাটানো চোখ জোড়ার,
তুলতুলে গোলাপি ঠোঁটের –
সে দু’চোখ আজ বঞ্চিত!
আমি জানি – তুমি অভিমানী; একরোখা।
তবুও ভেবেছিলাম তুমি আমাকে শাস্তি দিয়ে হলেও ক্ষমা করবে।
আমি ভেবেছিলাম একটি নির্দিষ্ট তারিখ তুমি মনে রাখবে –
আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করে অবশেষে
শুষ্ক আমাকে স্নাত করবে বাদল দিনের প্রথম ধারার মতো!
তুমি মনে রাখনি।
এই তারিখটা অন্য কেউ নয় শুধু তুমি জানতে;
তবু তুমি মনে রাখনি।
তোমার মনে আছে – আমরা যখন প্রথমদিকে অভিমান করতাম
তখন আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলামঃ
যা-ই ঘটুক, যতোই দূরত্ব বাড়ুক –
স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাবার আগে একে অপরের অনুমতি চাইবো!
তুমি আমাকে দেয়া তোমার সকল কথা রেখেছ;
আমি তোমাকে দেয়া আমার সকল কথা ভেঙ্গেছি
কিন্তু তুমি এই একটি কথা রাখনি
এবং আমি এই একটি কথা রেখেছি!
বাচিক শিল্পীর মতো শুধু আবৃত্তি নয়
একবার শ্রোতা হও; সঙ্গী করো শ্রবণ
যদি কখনো সুযোগ মেলে অথবা ইচ্ছে হয়
চলে এসো গুনগুন;
আমার বাগান দেখতে চায় –
রক্ত-মাংসে বেড়ে ওঠা বুক পকেট থেকে ঝরে পড়া
সবচেয়ে স্নিগ্ধ ফুল!..”
“..প্রতিদিন কতো অযুত-নিযুত মানুষ তোমাকে দেখছে;
কতো অজস্র মানুষের সাথে তোমার কথা হচ্ছে
সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত!
অথচ দেখো – যে শ্রবণ অপেক্ষারত তোমার উষ্ণ প্রশ্বাসের,
স্পন্দিত পা দু’টির টুপ টাপ শব্দের,
কথার মধ্যে হঠাৎ বাচ্চাদের মতো আদুরে গলার,
ঝর্ণার মতো ‘নহে নহে প্রিয়র’,
শীতল হাওয়ার মতো ‘জানিনা তুমি কেমন করে এলে’র –
সে শ্রবণ আজ বঞ্চিত!
যে চোখদুটো অপেক্ষা করতো
তোমার অল্প স্বল্প চুলের দোলার,
সাজ-সজ্জাহীন আকাঙ্ক্ষিত মুখের,
কাজলে ঢাকা নির্ঘুম রাত কাটানো চোখ জোড়ার,
তুলতুলে গোলাপি ঠোঁটের –
সে দু’চোখ আজ বঞ্চিত!
আমি জানি – তুমি অভিমানী; একরোখা।
তবুও ভেবেছিলাম তুমি আমাকে শাস্তি দিয়ে হলেও ক্ষমা করবে।
আমি ভেবেছিলাম একটি নির্দিষ্ট তারিখ তুমি মনে রাখবে –
আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করে অবশেষে
শুষ্ক আমাকে স্নাত করবে বাদল দিনের প্রথম ধারার মতো!
তুমি মনে রাখনি।
এই তারিখটা অন্য কেউ নয় শুধু তুমি জানতে;
তবু তুমি মনে রাখনি।
তোমার মনে আছে – আমরা যখন প্রথমদিকে অভিমান করতাম
তখন আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলামঃ
যা-ই ঘটুক, যতোই দূরত্ব বাড়ুক –
স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাবার আগে একে অপরের অনুমতি চাইবো!
তুমি আমাকে দেয়া তোমার সকল কথা রেখেছ;
আমি তোমাকে দেয়া আমার সকল কথা ভেঙ্গেছি
কিন্তু তুমি এই একটি কথা রাখনি
এবং আমি এই একটি কথা রেখেছি!
বাচিক শিল্পীর মতো শুধু আবৃত্তি নয়
একবার শ্রোতা হও; সঙ্গী করো শ্রবণ
যদি কখনো সুযোগ মেলে অথবা ইচ্ছে হয়
চলে এসো গুনগুন;
আমার বাগান দেখতে চায় –
রক্ত-মাংসে বেড়ে ওঠা বুক পকেট থেকে ঝরে পড়া
সবচেয়ে স্নিগ্ধ ফুল!..”
No comments:
Post a Comment