..‘শুদ্ধতম মাটি কোথায় পাওয়া যায়, বলতে পারবি?’..
“..‘শুদ্ধতম মাটি কোথায় পাওয়া যায়, বলতে পারবি?’
- জিজ্ঞেস করেছিল বকুল আপা – আমার কৈশোরের আকাংখিতা
- ‘যে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হয়?’
- পাল্টা প্রশ্ন করেছিলাম, উত্তর দিতে পারিনি;
বৃষ্টির প্রলেপ মাখানো হাসি দিয়ে আপা বলেছিল –
‘আগে আমার উত্তর তারপর তোর!’
আমি তখনও বৃষ্টিস্নাত – উত্তর দিতে পারিনি!
এরপর শরীরের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের মাপ
পরিবর্তিত হয়েছে বহুবার, আকস্মিকভাবে স্বামীচ্যুত
বকুল আপা আমাকে শিখিয়েছে অনুভূতির ব্যাখ্যা
শিখিয়েছে চোখ চাহনি – আঁকড়ে ধরা
মনের জলে শব্দ জালে জলজ জোস্না বন্দী করা
তারপর একদিন দুপুরে সবাই যখন মোড়া ঘুমের চাদরে
গায়ের সুবাস ঢেলে দিয়ে সে বলেছিল –
‘ইস! তুই যদি কবি হতিস!’
সেদিন রাতেই গ্রামে চলে গিয়েছিল তাঁরা; সব নিয়ে
শুধু আমার গলায় গাঢ় নখের দাগ ছাড়া!
এরপর চলে গেল অজস্র ফাগুন – রোদে জ্বলে
চলে গেল কতো অসংখ্য শ্রাবণ – ঝরে ঝরে
স্মিতার হাসি শিখিয়েছিল দ্যুতি ছড়ানোর কৌশল
বীথির দৃষ্টি শিখিয়েছিল সারিবদ্ধ স্বাপ্নিক প্রদর্শন
বর্ণমালার এক একটি বর্ণ অন্যান্য বর্ণের সাথে
বর্ণিল করেছিল আমায় কখনো একা; কখনো দল বেঁধে!
বুকের মাঝে গর্ত করে, পায়ের শুভ্র পদ্ম নিংড়ে
মেঘ নামিয়ে শিশির দেয়া – পাথর কেটে ধুলোর কেয়া
চন্দ্রাহত – স্পর্শাহত – বেদনাহত হওয়া
হাতের মুঠোয় নদী নিয়ে – ঠোঁটে কাজল কালো ছুঁয়ে
আঙুল রেখে জলাধারে অনিমেখ কম্পন দেখা
শিখেছিলাম অনেক কিছুই – কখনো যুগল; কখনো একা!
বকুল আপার প্রশ্নের উত্তর আমি তখনও দিতে পারিনি!
শিক্ষকরা বলেছিল – মাতৃভূমি
কৃষকরা বলেছিল – পলিমাটি
ব্যাবসায়িরা – স্ফটিক; রাজনীতিবিদেরা – মোজাইক
বকুল আপার প্রশ্নের উত্তর আমি তখনও খুঁজে পাইনি!
সেদিন একজন কবিকে জিজ্ঞেস করলাম –
‘শুদ্ধতম মাটি কোথায় পাওয়া যায়, বলা যাবে?’
তিনি বললেন –
‘যেখানে উড়ে রুদ্রের চিঠি, বোদলেয়ারের মেঘদল
যেখানে বিসর্জিত নারী-পুরুষের অর্জিত বোধ সকল
যে ঘর অনাহূতেরে ডাকে আহূতের সুরে-স্বরে
পতিতালয়ের প্রবেশদোরেই শুদ্ধতম মাটি আছে পড়ে!’
বকুল আপার প্রশ্নের উত্তর আমি এখনও দিতে পারিনি!
প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি ঠিকই – তাঁকে আর খুঁজে পাইনি!..”
“..‘শুদ্ধতম মাটি কোথায় পাওয়া যায়, বলতে পারবি?’
- জিজ্ঞেস করেছিল বকুল আপা – আমার কৈশোরের আকাংখিতা
- ‘যে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হয়?’
- পাল্টা প্রশ্ন করেছিলাম, উত্তর দিতে পারিনি;
বৃষ্টির প্রলেপ মাখানো হাসি দিয়ে আপা বলেছিল –
‘আগে আমার উত্তর তারপর তোর!’
আমি তখনও বৃষ্টিস্নাত – উত্তর দিতে পারিনি!
এরপর শরীরের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের মাপ
পরিবর্তিত হয়েছে বহুবার, আকস্মিকভাবে স্বামীচ্যুত
বকুল আপা আমাকে শিখিয়েছে অনুভূতির ব্যাখ্যা
শিখিয়েছে চোখ চাহনি – আঁকড়ে ধরা
মনের জলে শব্দ জালে জলজ জোস্না বন্দী করা
তারপর একদিন দুপুরে সবাই যখন মোড়া ঘুমের চাদরে
গায়ের সুবাস ঢেলে দিয়ে সে বলেছিল –
‘ইস! তুই যদি কবি হতিস!’
সেদিন রাতেই গ্রামে চলে গিয়েছিল তাঁরা; সব নিয়ে
শুধু আমার গলায় গাঢ় নখের দাগ ছাড়া!
এরপর চলে গেল অজস্র ফাগুন – রোদে জ্বলে
চলে গেল কতো অসংখ্য শ্রাবণ – ঝরে ঝরে
স্মিতার হাসি শিখিয়েছিল দ্যুতি ছড়ানোর কৌশল
বীথির দৃষ্টি শিখিয়েছিল সারিবদ্ধ স্বাপ্নিক প্রদর্শন
বর্ণমালার এক একটি বর্ণ অন্যান্য বর্ণের সাথে
বর্ণিল করেছিল আমায় কখনো একা; কখনো দল বেঁধে!
বুকের মাঝে গর্ত করে, পায়ের শুভ্র পদ্ম নিংড়ে
মেঘ নামিয়ে শিশির দেয়া – পাথর কেটে ধুলোর কেয়া
চন্দ্রাহত – স্পর্শাহত – বেদনাহত হওয়া
হাতের মুঠোয় নদী নিয়ে – ঠোঁটে কাজল কালো ছুঁয়ে
আঙুল রেখে জলাধারে অনিমেখ কম্পন দেখা
শিখেছিলাম অনেক কিছুই – কখনো যুগল; কখনো একা!
বকুল আপার প্রশ্নের উত্তর আমি তখনও দিতে পারিনি!
শিক্ষকরা বলেছিল – মাতৃভূমি
কৃষকরা বলেছিল – পলিমাটি
ব্যাবসায়িরা – স্ফটিক; রাজনীতিবিদেরা – মোজাইক
বকুল আপার প্রশ্নের উত্তর আমি তখনও খুঁজে পাইনি!
সেদিন একজন কবিকে জিজ্ঞেস করলাম –
‘শুদ্ধতম মাটি কোথায় পাওয়া যায়, বলা যাবে?’
তিনি বললেন –
‘যেখানে উড়ে রুদ্রের চিঠি, বোদলেয়ারের মেঘদল
যেখানে বিসর্জিত নারী-পুরুষের অর্জিত বোধ সকল
যে ঘর অনাহূতেরে ডাকে আহূতের সুরে-স্বরে
পতিতালয়ের প্রবেশদোরেই শুদ্ধতম মাটি আছে পড়ে!’
বকুল আপার প্রশ্নের উত্তর আমি এখনও দিতে পারিনি!
প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি ঠিকই – তাঁকে আর খুঁজে পাইনি!..”
No comments:
Post a Comment