..‘নারী আরাধ্য আমার, কবিতা - আশ্রয়’..
“..নারী আরাধ্য আমার, কবিতা – আশ্রয়
শিল্পে দু’হাত উত্তোলিত – প্রার্থনায় নয়!
হাজার বছর ধরে এসেছে অনেক জীবন বিধান
স্বার্থ দিয়ে ঘেরা, সীমাবদ্ধতায় মোড়া, উদ্দেশ্য সরল
দোঁহায়-মন্ত্রে-স্তোত্রে-আয়াতে একঘেয়ে বিভাজন
কুয়াশা নেই এখানে; নেই নিঃস্বার্থ নৈব্যক্তিকতা
লোভ আর লালসায় পরিপূর্ণ অবিকশিত কথকতা
নিরন্তর প্রার্থনার একই রুপ – স্বেচ্ছাচারিতা
অগণিত মহামানবের একই বানী – অপাপবিদ্ধতা!
আমি অনুসারীদের দিয়েছিলাম কিছু কাগুজে নোট
অসংখ্য বিধি-নিষেধের বিনিময়ে তাঁরা দিয়েছিল আশ্বাস
অসীম আয়ুষ্কাল – স্বচ্ছ বিপরীত লিঙ্গ – অনায়াস সুখ
তাঁদের শব্দগুচ্ছে ছন্দ ছিল, দ্যোতনা ছিল, ছিল না পক্ষপাতহীনতা
আমার রাত কেটেছিল নির্ঘুম – চোখের পাতায় নিষেধ ভাঙ্গার ভয়
নারী এসে দিল সৃজনশীল তন্দ্রা; কবিতা দিল আশ্রয়
তারা আবৃত ছিল – সহজবোধ্য ছিল – ছিল পশ্চাৎপদ আঁধার
দ্রোহানলে পুড়িয়ে নারী ও কবিতা আমায় মানুষ করলো আবার
হয়তো কখনো পাপড়ি দিয়েছি – নারী খুলে দিয়েছে বাগান
অথবা কখনো আকাশ দিয়েছি – সে জল দিয়েছে শিশির সমান
হয়তো কখনো ‘সাদা’ কবিতা পড়ে আমিও হয়েছি ‘সাদা’
অথবা কখনো ‘কালো’ কবিতায় মেখেছি কালোর কাদা!
পবিত্র বিধানের বাক্যগুচ্ছ জড়ায়নি আমাকে
যেভাবে জড়িয়েছে নারী;
ছোঁয়নি যূথবদ্ধ তাঁদের প্রাচীন বিধি
তৃষিত শ্রবণ আমারই!
নারীর মত উন্মুক্ত অথচ দুর্বোধ্য – আর কেউ নেই
সে আমার আরাধ্য তাই – যার যা খুশি বলুক
কবিতার মত সার্বজনীন অথচ আকাঙ্ক্ষিত – আর ফুল নেই
সে আমার আশ্রয় তাই – যে রঙেই তা ফুটুক!
আমার বোধে, পরিশ্রমে – প্রাপ্তিটুকু আসুক
অপেক্ষায় নেই অদৃশ্য অলস মেঘদল নামুক
নারী আরাধ্য আমার, কবিতা – আশ্রয়
শিল্পে দু’হাত উত্তোলিত – প্রার্থনায় নয়!..”
“..নারী আরাধ্য আমার, কবিতা – আশ্রয়
শিল্পে দু’হাত উত্তোলিত – প্রার্থনায় নয়!
হাজার বছর ধরে এসেছে অনেক জীবন বিধান
স্বার্থ দিয়ে ঘেরা, সীমাবদ্ধতায় মোড়া, উদ্দেশ্য সরল
দোঁহায়-মন্ত্রে-স্তোত্রে-আয়াতে একঘেয়ে বিভাজন
কুয়াশা নেই এখানে; নেই নিঃস্বার্থ নৈব্যক্তিকতা
লোভ আর লালসায় পরিপূর্ণ অবিকশিত কথকতা
নিরন্তর প্রার্থনার একই রুপ – স্বেচ্ছাচারিতা
অগণিত মহামানবের একই বানী – অপাপবিদ্ধতা!
আমি অনুসারীদের দিয়েছিলাম কিছু কাগুজে নোট
অসংখ্য বিধি-নিষেধের বিনিময়ে তাঁরা দিয়েছিল আশ্বাস
অসীম আয়ুষ্কাল – স্বচ্ছ বিপরীত লিঙ্গ – অনায়াস সুখ
তাঁদের শব্দগুচ্ছে ছন্দ ছিল, দ্যোতনা ছিল, ছিল না পক্ষপাতহীনতা
আমার রাত কেটেছিল নির্ঘুম – চোখের পাতায় নিষেধ ভাঙ্গার ভয়
নারী এসে দিল সৃজনশীল তন্দ্রা; কবিতা দিল আশ্রয়
তারা আবৃত ছিল – সহজবোধ্য ছিল – ছিল পশ্চাৎপদ আঁধার
দ্রোহানলে পুড়িয়ে নারী ও কবিতা আমায় মানুষ করলো আবার
হয়তো কখনো পাপড়ি দিয়েছি – নারী খুলে দিয়েছে বাগান
অথবা কখনো আকাশ দিয়েছি – সে জল দিয়েছে শিশির সমান
হয়তো কখনো ‘সাদা’ কবিতা পড়ে আমিও হয়েছি ‘সাদা’
অথবা কখনো ‘কালো’ কবিতায় মেখেছি কালোর কাদা!
পবিত্র বিধানের বাক্যগুচ্ছ জড়ায়নি আমাকে
যেভাবে জড়িয়েছে নারী;
ছোঁয়নি যূথবদ্ধ তাঁদের প্রাচীন বিধি
তৃষিত শ্রবণ আমারই!
নারীর মত উন্মুক্ত অথচ দুর্বোধ্য – আর কেউ নেই
সে আমার আরাধ্য তাই – যার যা খুশি বলুক
কবিতার মত সার্বজনীন অথচ আকাঙ্ক্ষিত – আর ফুল নেই
সে আমার আশ্রয় তাই – যে রঙেই তা ফুটুক!
আমার বোধে, পরিশ্রমে – প্রাপ্তিটুকু আসুক
অপেক্ষায় নেই অদৃশ্য অলস মেঘদল নামুক
নারী আরাধ্য আমার, কবিতা – আশ্রয়
শিল্পে দু’হাত উত্তোলিত – প্রার্থনায় নয়!..”
No comments:
Post a Comment