প্রসঙ্গঃ সংগীত
“.. বর্তমান
বাংলা সংস্কৃতির একটি
দ্রুত বর্ধনশীল এবং পচনশীল পণ্যের নাম সঙ্গীত.. প্রতি মুহূর্তে ঘড়ির কাঁটার সাথে
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সঙ্গীত, সঙ্গীতশিল্পী,
সুরকার, গীতিকার এবং প্রযোজনাসংস্থা.. ঐশ্বরিক ক্ষমতাবলে আমাদের প্রায় অধিকাংশ
জনসংখ্যাই মনে করেন তারা
অসাধারণ গান করতে পারেন.. এদের মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক গায়ক/গায়িকা আবার ভয়ংকর মেধাবী কেননা তারা নাকি আধাঘণ্টায় ৬-৭
টি নতুন গান কণ্ঠে
তুলে recording ও করছেন
প্রতিনিয়ত (উস্তাদ বড় গুলাম আলীর একটা concert এ শুনেছিলাম ‘চুপকে
চুপকে রাত দিন’ গানটি কণ্ঠে
তুলতে তার নাকি কয়েক মাস লেগেছিলো আর আমাদের শিল্পীদের মাত্র এক ঘণ্টাই যথেষ্ট
একটি আস্ত অ্যালবাম
বের করে ফেলার জন্য)! কারো কারো নামের সাথে উপস্থাপক/উপস্থাপিকা যখন তাদের
যোগ্য(!) বিশেষণ সমূহ মিনিটব্যাপী বলে অবশেষে তার নাম বলে-খুব অবাক হই; এতো
গুনী একজন শিল্পী অথচ তার নাম আগে কখনো শুনলাম না, এটা কি করে হয়!
দুর্ভাগ্যবশত, আমার গলায় সুর নেই কিন্তু শ্রবনে সুর আছে.. তাই বেসুরো কোনো গান শোনামাত্রই আমার প্রচণ্ড কষ্ট হয়, দম বন্ধ হয়ে আসে। চারপাশ ঝাপসা দেখতে থাকি এবং তলপেটে প্রচণ্ড চাপ অনুভব করতে থাকি, পাগলের মতো এদিক ওদিক খুঁজে বেড়াই BATHROOM: জলবিয়োগের জন্য (সঠিক জায়গায় সঠিক জিনিসটি ফেলার ইচ্ছে আমাদের অনেকের থাকলেও সামর্থ্য আমাদের অনেকেরই থাকেনা)..
আমি বাজি ধরে বলতে পারি এদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক জন বলতে পারবে সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি- শব্দগুলোর Elaboration কী? এবং খুব কম সংখ্যক জন বলতে পারবে শুদ্ধ শ্রুতি এবং বিকৃত শ্রুতি কয়টি? এবং খুব কম সংখ্যক জন বলতে পারবে যেসব জনপ্রিয় গানগুলো মঞ্চে গেয়ে তারা আজ ভুলবশত জনপ্রিয় সেসব গানের গীতিকার এবং সুরকার কারা?
অসংখ্য সঙ্গীতানুষ্ঠানে আমি গাইতে শুনেছি – ‘ও আমার দরদী আগে জানলে’, ‘আমার হাড় কালা করলামরে’, ‘প্রাণ সখীরে ওই শোন ওই কদম্বতলে’, ‘আমায় ভাসাইলিরে, আমায় ডুবাইলিরে’, ‘আমায় এতো রাতে কেনে ডাক দিলি’ ইত্যাদি অসাধারন গানগুলো যেগুলো লিখেছেন কবি জসিম উদ্দীন এবং সুর করেছেন আব্বাসউদ্দিন কিন্তু গায়ক/গায়িকা এমনকি প্রযোজনাসংস্থাগুলো cassette/cd- এর গায়ে ‘কথা ও সুর-সংগ্রহ’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে!
..ফলাফল হিসেবে আমাদের next generation এমন অজস্র অসাধারণ মোহময় গানের গীতিকার এবং সুরকার সম্পর্কে কিছুই জানতে পারছেনা এবং অনেকেই মনে করছে এগুলো এইসব ব্যাঙকণ্ঠা/ব্যাঙকণ্ঠী গায়ক/গায়িকাদেরই সৃষ্টি..
যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক এইসব গায়ক/গায়িকা এবং প্রযোজনাসংস্থাগুলোর জন্য আমরা এখন শুধু একটা কাজই করতে পারি আর তা হচ্ছে –‘সংগৃহীত’ বিভিন্ন ডালপালা দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন নকশা ‘সংগ্রহ’ করে দেওয়া যাতে করে ভবিষ্যতে তারা সত্যি সত্যি আসল নামগুলো ‘সংগ্রহ’ করে ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারে..”
দুর্ভাগ্যবশত, আমার গলায় সুর নেই কিন্তু শ্রবনে সুর আছে.. তাই বেসুরো কোনো গান শোনামাত্রই আমার প্রচণ্ড কষ্ট হয়, দম বন্ধ হয়ে আসে। চারপাশ ঝাপসা দেখতে থাকি এবং তলপেটে প্রচণ্ড চাপ অনুভব করতে থাকি, পাগলের মতো এদিক ওদিক খুঁজে বেড়াই BATHROOM: জলবিয়োগের জন্য (সঠিক জায়গায় সঠিক জিনিসটি ফেলার ইচ্ছে আমাদের অনেকের থাকলেও সামর্থ্য আমাদের অনেকেরই থাকেনা)..
আমি বাজি ধরে বলতে পারি এদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক জন বলতে পারবে সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি- শব্দগুলোর Elaboration কী? এবং খুব কম সংখ্যক জন বলতে পারবে শুদ্ধ শ্রুতি এবং বিকৃত শ্রুতি কয়টি? এবং খুব কম সংখ্যক জন বলতে পারবে যেসব জনপ্রিয় গানগুলো মঞ্চে গেয়ে তারা আজ ভুলবশত জনপ্রিয় সেসব গানের গীতিকার এবং সুরকার কারা?
অসংখ্য সঙ্গীতানুষ্ঠানে আমি গাইতে শুনেছি – ‘ও আমার দরদী আগে জানলে’, ‘আমার হাড় কালা করলামরে’, ‘প্রাণ সখীরে ওই শোন ওই কদম্বতলে’, ‘আমায় ভাসাইলিরে, আমায় ডুবাইলিরে’, ‘আমায় এতো রাতে কেনে ডাক দিলি’ ইত্যাদি অসাধারন গানগুলো যেগুলো লিখেছেন কবি জসিম উদ্দীন এবং সুর করেছেন আব্বাসউদ্দিন কিন্তু গায়ক/গায়িকা এমনকি প্রযোজনাসংস্থাগুলো cassette/cd- এর গায়ে ‘কথা ও সুর-সংগ্রহ’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে!
..ফলাফল হিসেবে আমাদের next generation এমন অজস্র অসাধারণ মোহময় গানের গীতিকার এবং সুরকার সম্পর্কে কিছুই জানতে পারছেনা এবং অনেকেই মনে করছে এগুলো এইসব ব্যাঙকণ্ঠা/ব্যাঙকণ্ঠী গায়ক/গায়িকাদেরই সৃষ্টি..
যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক এইসব গায়ক/গায়িকা এবং প্রযোজনাসংস্থাগুলোর জন্য আমরা এখন শুধু একটা কাজই করতে পারি আর তা হচ্ছে –‘সংগৃহীত’ বিভিন্ন ডালপালা দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন নকশা ‘সংগ্রহ’ করে দেওয়া যাতে করে ভবিষ্যতে তারা সত্যি সত্যি আসল নামগুলো ‘সংগ্রহ’ করে ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারে..”
প্রসঙ্গঃ লিঙ্গ বৈষম্য
“..লিঙ্গ
বৈষম্য (Gender Discrimination) আমাদের
সমাজে ঐ সকল ব্যাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম যেগুলো আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে থেকে পেয়েছি,
লালন করছি এবং ধারণ করছি..পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই এ ব্যাধি কম-বেশী রয়েছে
তবে আমাদের মতো
যেসকল দেশ ধর্মের অপব্যাখ্যায় এবং
Certificate শিক্ষায়
বিশ্বাসী, এ ব্যাধি
সেসকল দেশে সূর্যের মতোই ধ্রুব!
অনেকেই মনে করেন লিঙ্গ বৈষম্য কেবলমাত্র গ্রামাঞ্চলে রয়েছে, শহরে নেই..ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়..নিরক্ষর লোকেরা তাদের উচ্ছ্বাস, আবেগ, দুঃখ, ঘৃণা ইত্যাদি উন্মুক্ত এবং প্রকট ভাবে প্রকাশ করে অভ্যস্ত কিন্তু শিক্ষিতরা এসব বিষয়ে শৈল্পিক ভাবে মুখোশধারী..তাই আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে শহরে এ ব্যাধিটি অনুপস্থিত কিন্তু বাস্তবে তা নয়..এ ব্যাধিটির প্রাথমিক কারণগুলো হচ্ছে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা, প্রথাগত সামাজিক বিধিনিষেধ, অশিক্ষা এবং মানসিকতা..
একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, এই কারণগুলো একটি অপরটির সাথে সম্পর্কিত এবং এগুলোর মধ্যেই এ ব্যাধি থেকে মুক্তির পথ রয়েছে..যেমন ধর্মীয় বিধিগুলোর অপব্যাখ্যাই কালক্রমে সামাজিক বিধিনিষেধে রূপান্তরিত হয় যার ফলে শিক্ষিত লোকেরা অশিক্ষিত মানুষের মতো মানসিকতা নিয়ে এ ব্যাধিটিকে চারাগাছ থেকে বট বৃক্ষে রূপান্তরিত করছে.. ফলাফল হিসেবে সাম্প্রতিক Dhaka University এর International Relations department এর madam রুমানা মঞ্জুরের BUET engineer স্বামী সাইদ হাসানের দ্বারা পাশবিক ভাবে নির্যাতিত হবার ঘটনাটি উল্লেখযোগ্য..
একজন BUET engineer স্বামী যেকোনো বঙ্গীয় ললনারই আরাধ্য কিন্তু একজন সাইদ হাসান কি আরাধ্য? Answerটি অবশ্যই negative হবে..তার মানে হচ্ছে শিক্ষিত মানুষ নয়, প্রয়োজন হচ্ছে শিক্ষিত মানসিকতা কেননা Certificateধারী মুক্তিযোদ্ধায় যেমন দেশ ছেয়ে গেছে ঠিক তেমনি দেশ ভরে গেছে Certificateধারী শিক্ষিত মানুষে যাদের মানসিকতা এখনো Amazon এর গহীন অরন্যের থেকেও অনেক বেশী অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং নানা রকমের বন্য পশুর পায়ের ছাপে পরিপূর্ণ!..
২০১১ সালে বসবাস করেও এখনো আমরা কোনো মহিলাকে গাড়ি চালাতে দেখে চোখ কপালে তুলে ফেলি আর যদি কোনো মহিলা motor cycle চালিয়ে সামনে দিয়ে যায় তবে তো কথাই নেই! আমাদের ভাবটা তখন এমন হয় যে- এইমাত্র ঐ মহিলা মঙ্গল গ্রহ থেকে land করলো!
যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী সবাই মহিলা, সেই দেশে লিঙ্গ বৈষম্য অকল্পনীয় কিন্তু যে যে দেশের public bus এ মহিলাদের জন্য সুনির্দিষ্ট আসনের ব্যবস্থা রয়েছে সে দেশে লিঙ্গ বৈষম্য থাকবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়? এখনো কি আমাদের সমাজে অনেক পুরুষেরা মনে করেন না যে সমাজটা তাদের, তাদের অর্ধাঙ্গীরা তাদের ভোগ্যপণ্য, তাদের মেয়েদের একটি ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারাই তাদের জীবনের অন্যতম পরম লক্ষ্য?
লিঙ্গ বৈষম্য থেকে মুক্তির একটিই পথ আর তা হচ্ছে মানসিকতার পরিবর্তন যেটি কেবলমাত্র আসতে পারে সুশিক্ষার দ্বারা..তবে মনে রাখতে হবে শিক্ষার উদ্দেশ্য হতে হবে নিজের মধ্যে একটি ছাঁকনি তৈরি করা যা গ্রহণ করবে শুধুই বিশুদ্ধকে এবং বর্জন করবে সকল দূষিতকে..কারণ এটি সকলেরই জানা আছে যে, Certificateধারী শিক্ষিতরা শুধু গলা উঁচু করে বলতে পারে কিন্তু মানতে পারেনা- ‘নারী-পুরুষ সবাই সমান’ কিন্তু ছাঁকনিধারী শিক্ষিতরা এটি শুধু জানে তাই নয়; মানে এবং ধারণও করে; আর এই ধারণ করাই হওয়া উচিৎ আলোকিত সমাজের একমাত্র ধর্ম!..’
অনেকেই মনে করেন লিঙ্গ বৈষম্য কেবলমাত্র গ্রামাঞ্চলে রয়েছে, শহরে নেই..ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়..নিরক্ষর লোকেরা তাদের উচ্ছ্বাস, আবেগ, দুঃখ, ঘৃণা ইত্যাদি উন্মুক্ত এবং প্রকট ভাবে প্রকাশ করে অভ্যস্ত কিন্তু শিক্ষিতরা এসব বিষয়ে শৈল্পিক ভাবে মুখোশধারী..তাই আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে শহরে এ ব্যাধিটি অনুপস্থিত কিন্তু বাস্তবে তা নয়..এ ব্যাধিটির প্রাথমিক কারণগুলো হচ্ছে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা, প্রথাগত সামাজিক বিধিনিষেধ, অশিক্ষা এবং মানসিকতা..
একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, এই কারণগুলো একটি অপরটির সাথে সম্পর্কিত এবং এগুলোর মধ্যেই এ ব্যাধি থেকে মুক্তির পথ রয়েছে..যেমন ধর্মীয় বিধিগুলোর অপব্যাখ্যাই কালক্রমে সামাজিক বিধিনিষেধে রূপান্তরিত হয় যার ফলে শিক্ষিত লোকেরা অশিক্ষিত মানুষের মতো মানসিকতা নিয়ে এ ব্যাধিটিকে চারাগাছ থেকে বট বৃক্ষে রূপান্তরিত করছে.. ফলাফল হিসেবে সাম্প্রতিক Dhaka University এর International Relations department এর madam রুমানা মঞ্জুরের BUET engineer স্বামী সাইদ হাসানের দ্বারা পাশবিক ভাবে নির্যাতিত হবার ঘটনাটি উল্লেখযোগ্য..
একজন BUET engineer স্বামী যেকোনো বঙ্গীয় ললনারই আরাধ্য কিন্তু একজন সাইদ হাসান কি আরাধ্য? Answerটি অবশ্যই negative হবে..তার মানে হচ্ছে শিক্ষিত মানুষ নয়, প্রয়োজন হচ্ছে শিক্ষিত মানসিকতা কেননা Certificateধারী মুক্তিযোদ্ধায় যেমন দেশ ছেয়ে গেছে ঠিক তেমনি দেশ ভরে গেছে Certificateধারী শিক্ষিত মানুষে যাদের মানসিকতা এখনো Amazon এর গহীন অরন্যের থেকেও অনেক বেশী অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং নানা রকমের বন্য পশুর পায়ের ছাপে পরিপূর্ণ!..
২০১১ সালে বসবাস করেও এখনো আমরা কোনো মহিলাকে গাড়ি চালাতে দেখে চোখ কপালে তুলে ফেলি আর যদি কোনো মহিলা motor cycle চালিয়ে সামনে দিয়ে যায় তবে তো কথাই নেই! আমাদের ভাবটা তখন এমন হয় যে- এইমাত্র ঐ মহিলা মঙ্গল গ্রহ থেকে land করলো!
যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী সবাই মহিলা, সেই দেশে লিঙ্গ বৈষম্য অকল্পনীয় কিন্তু যে যে দেশের public bus এ মহিলাদের জন্য সুনির্দিষ্ট আসনের ব্যবস্থা রয়েছে সে দেশে লিঙ্গ বৈষম্য থাকবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়? এখনো কি আমাদের সমাজে অনেক পুরুষেরা মনে করেন না যে সমাজটা তাদের, তাদের অর্ধাঙ্গীরা তাদের ভোগ্যপণ্য, তাদের মেয়েদের একটি ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারাই তাদের জীবনের অন্যতম পরম লক্ষ্য?
লিঙ্গ বৈষম্য থেকে মুক্তির একটিই পথ আর তা হচ্ছে মানসিকতার পরিবর্তন যেটি কেবলমাত্র আসতে পারে সুশিক্ষার দ্বারা..তবে মনে রাখতে হবে শিক্ষার উদ্দেশ্য হতে হবে নিজের মধ্যে একটি ছাঁকনি তৈরি করা যা গ্রহণ করবে শুধুই বিশুদ্ধকে এবং বর্জন করবে সকল দূষিতকে..কারণ এটি সকলেরই জানা আছে যে, Certificateধারী শিক্ষিতরা শুধু গলা উঁচু করে বলতে পারে কিন্তু মানতে পারেনা- ‘নারী-পুরুষ সবাই সমান’ কিন্তু ছাঁকনিধারী শিক্ষিতরা এটি শুধু জানে তাই নয়; মানে এবং ধারণও করে; আর এই ধারণ করাই হওয়া উচিৎ আলোকিত সমাজের একমাত্র ধর্ম!..’
প্রসঙ্গঃ বৃষ্টি
“..আমার দেশের যেসকল
জিনিস আমার অত্যন্ত পছন্দের, এগুলোর মধ্যে বৃষ্টি অন্যতম..একটা সময় ছিলো যখন
বৃষ্টি হলেই আমি বৃষ্টিতে ভিজতাম; সেটা
হোক দিন কিংবা রাত!
বৃষ্টির একটা ভয়ঙ্কর সুন্দর ছন্দ আছে যা আমার মনোযোগ কেড়ে নিতে পারে চোখের পলকে, বৃষ্টির একটা অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ আছে যা আমি অজস্রবার বোতলে ভরে রেখে দিতে চেয়েছি, বৃষ্টির একটা তীব্র কোমল স্পর্শ রয়েছে যা আমি খুঁজে ফিরেছি অসংখ্য আদর্শ আঙ্গুলে; কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি প্রতিবার!..
বৃষ্টির একটা তীক্ষ্ণ সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে- যে অপেক্ষা করতে চায়, তাকে অপেক্ষায় রাখার এবং যে চলে যেতে চায় তাকে চলতে দেবার..বৃষ্টিতে চারপাশ বাগান হয়ে যায়। বিশ্বাস জন্মে যায় পৌরাণিকতায়..শুনেছি, স্বাধীনতার পর অনেক পাকিস্তানী বাদক এবং উস্তাদরা আমাদের দেশ ছেড়ে যেতে চাননি পাকিস্তানে বৃষ্টি হয় না বলে!..
বৃষ্টি আমাদের ভেতরে একটা চঞ্চল শূন্যতা তৈরি করে, ফোঁটায় ফোঁটায় খনন করে গভীর কুয়া যেখানে অসংখ্য স্মৃতি স্থবির জলের মতো পড়ে থাকা অবস্থায় বৃষ্টির ফোঁটায় আবার প্রাণ ফিরে পায়, প্রতিধ্বনিত হয়..হঠাৎ করে স্কুল এ বেজে উঠা ছুটির ঘণ্টার মত বৃষ্টির শব্দ ছুটি দেয় আমাদের- পরাধীন ভাবনাগুলো থেকে, দায়িত্বগুলো থেকে..বৃষ্টি মনে করিয়ে দেয় কচি বাঁশপাতার মতো বড় অগোছালো অপরিচিতার চোখগুলোকে, হুড টেনে রিকশায় খুব কাছাকাছি বসা একজোড়া কদমফুলকে, আভিজাত্য আর নিরাপত্তার অভাবে বারান্দায় আধভেজা Money-plant এর দ্বিধা থরথর পাতা..বৃষ্টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় রিকশাওয়ালার পিঠে পিস্টনের শক্তি, নোংরা টোকাই ছেলেটার ফোকলা দাঁতের ভয়ঙ্কর মিষ্টি হাসি, নির্দয় এবং রাগী মানুষটার চোখেও স্মৃতির diaryর পাতা উল্টানোর কাঁপন!
বৃষ্টি আমাকে সবসময় আন্দোলিত করেছে, উৎসাহ দিয়েছে এবং কাছে টেনেছে কিন্তু আজকাল বৃষ্টি দেখলে আমার খুব দুশ্চিন্তা হয়, ভয় হয়, পলকহীন চোখেও আমি একটা দৃশ্য কল্পনা করতে পারি.. আমার এ কল্পনার জন্য আমি এখন আর বৃষ্টিতে ভিজতে পারিনা। বৃষ্টিতে ভিজছে এমন কারো দিকেও তাকাতে পারিনা..
তাই বৃষ্টি শুরু হলেই আমি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাই এবং গভীরভাবে কঠিন কোনো কিছু নিয়ে ভাবতে শুরু করি আর তা না হলে আমি কল্পনায় দেখতে পাই -
অসম্ভব সুন্দর বৃষ্টিধারায় প্রান খুলে চেনা-অচেনা হাজার হাজার মানুষ ভিজছে, ভিজছি আমি, তাদের আনন্দধ্বনির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির বেগ..স্নাত করছে, ধুয়ে দিচ্ছে আমাদের ভালোবাসায় মাখা, পাপ দিয়ে ঢাকা শরীর.. বৃষ্টির ধারা একটু একটু করে মুছে দিচ্ছে পাপের আস্তরণ..নিষ্পাপ আমরা আরো শুভ্র, আরো সুন্দর.. বৃষ্টির ধারা একটু একটু করে খুলে ফেলছে ভালোবাসার পরত.. একটু একটু করে উঁকি দিচ্ছে বুকের মধ্যে রেখে দেওয়া আমাদের চিন্তা- ভাবনার আয়না!..
কী জঘন্য, কী পাশবিক, কী হিংস্র, কী অন্ধকারাচ্ছন্ন আমাদের চিন্তা- ভাবনাগুলো! আমরা একে অপরের আয়নার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠছি, ছুটে পালিয়ে যেতে চাইছি আমাদের ভাবনার প্রতিফলন দেখে!
আয়নাতে দেখা এই কুৎসিত, অমানবিক সব কিছুই দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের ভেতরটাকে, আমাদেরকে!...
আমি আবার আগের মতো ভিজতে চাই
বৃষ্টি, তুমি শুধু ধুয়ে দাও ঐ পাপের আস্তরণ আর একবার শুধু চোখ ভরে দেখতে দাও ঐ ভালোবাসার পরত, সত্যি বলছি-প্রতিটি মানুষের ভেতরটা হয়ে যাবে তোমার মত-ই পবিত্র, সূর্যালোকের মতো উদ্ভাসিত, যেখানে স্থান হবেনা কোনো আঁধারের, কোনো কুৎসিতের!..”
বৃষ্টির একটা ভয়ঙ্কর সুন্দর ছন্দ আছে যা আমার মনোযোগ কেড়ে নিতে পারে চোখের পলকে, বৃষ্টির একটা অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ আছে যা আমি অজস্রবার বোতলে ভরে রেখে দিতে চেয়েছি, বৃষ্টির একটা তীব্র কোমল স্পর্শ রয়েছে যা আমি খুঁজে ফিরেছি অসংখ্য আদর্শ আঙ্গুলে; কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি প্রতিবার!..
বৃষ্টির একটা তীক্ষ্ণ সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে- যে অপেক্ষা করতে চায়, তাকে অপেক্ষায় রাখার এবং যে চলে যেতে চায় তাকে চলতে দেবার..বৃষ্টিতে চারপাশ বাগান হয়ে যায়। বিশ্বাস জন্মে যায় পৌরাণিকতায়..শুনেছি, স্বাধীনতার পর অনেক পাকিস্তানী বাদক এবং উস্তাদরা আমাদের দেশ ছেড়ে যেতে চাননি পাকিস্তানে বৃষ্টি হয় না বলে!..
বৃষ্টি আমাদের ভেতরে একটা চঞ্চল শূন্যতা তৈরি করে, ফোঁটায় ফোঁটায় খনন করে গভীর কুয়া যেখানে অসংখ্য স্মৃতি স্থবির জলের মতো পড়ে থাকা অবস্থায় বৃষ্টির ফোঁটায় আবার প্রাণ ফিরে পায়, প্রতিধ্বনিত হয়..হঠাৎ করে স্কুল এ বেজে উঠা ছুটির ঘণ্টার মত বৃষ্টির শব্দ ছুটি দেয় আমাদের- পরাধীন ভাবনাগুলো থেকে, দায়িত্বগুলো থেকে..বৃষ্টি মনে করিয়ে দেয় কচি বাঁশপাতার মতো বড় অগোছালো অপরিচিতার চোখগুলোকে, হুড টেনে রিকশায় খুব কাছাকাছি বসা একজোড়া কদমফুলকে, আভিজাত্য আর নিরাপত্তার অভাবে বারান্দায় আধভেজা Money-plant এর দ্বিধা থরথর পাতা..বৃষ্টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় রিকশাওয়ালার পিঠে পিস্টনের শক্তি, নোংরা টোকাই ছেলেটার ফোকলা দাঁতের ভয়ঙ্কর মিষ্টি হাসি, নির্দয় এবং রাগী মানুষটার চোখেও স্মৃতির diaryর পাতা উল্টানোর কাঁপন!
বৃষ্টি আমাকে সবসময় আন্দোলিত করেছে, উৎসাহ দিয়েছে এবং কাছে টেনেছে কিন্তু আজকাল বৃষ্টি দেখলে আমার খুব দুশ্চিন্তা হয়, ভয় হয়, পলকহীন চোখেও আমি একটা দৃশ্য কল্পনা করতে পারি.. আমার এ কল্পনার জন্য আমি এখন আর বৃষ্টিতে ভিজতে পারিনা। বৃষ্টিতে ভিজছে এমন কারো দিকেও তাকাতে পারিনা..
তাই বৃষ্টি শুরু হলেই আমি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাই এবং গভীরভাবে কঠিন কোনো কিছু নিয়ে ভাবতে শুরু করি আর তা না হলে আমি কল্পনায় দেখতে পাই -
অসম্ভব সুন্দর বৃষ্টিধারায় প্রান খুলে চেনা-অচেনা হাজার হাজার মানুষ ভিজছে, ভিজছি আমি, তাদের আনন্দধ্বনির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির বেগ..স্নাত করছে, ধুয়ে দিচ্ছে আমাদের ভালোবাসায় মাখা, পাপ দিয়ে ঢাকা শরীর.. বৃষ্টির ধারা একটু একটু করে মুছে দিচ্ছে পাপের আস্তরণ..নিষ্পাপ আমরা আরো শুভ্র, আরো সুন্দর.. বৃষ্টির ধারা একটু একটু করে খুলে ফেলছে ভালোবাসার পরত.. একটু একটু করে উঁকি দিচ্ছে বুকের মধ্যে রেখে দেওয়া আমাদের চিন্তা- ভাবনার আয়না!..
কী জঘন্য, কী পাশবিক, কী হিংস্র, কী অন্ধকারাচ্ছন্ন আমাদের চিন্তা- ভাবনাগুলো! আমরা একে অপরের আয়নার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠছি, ছুটে পালিয়ে যেতে চাইছি আমাদের ভাবনার প্রতিফলন দেখে!
আয়নাতে দেখা এই কুৎসিত, অমানবিক সব কিছুই দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের ভেতরটাকে, আমাদেরকে!...
আমি আবার আগের মতো ভিজতে চাই
বৃষ্টি, তুমি শুধু ধুয়ে দাও ঐ পাপের আস্তরণ আর একবার শুধু চোখ ভরে দেখতে দাও ঐ ভালোবাসার পরত, সত্যি বলছি-প্রতিটি মানুষের ভেতরটা হয়ে যাবে তোমার মত-ই পবিত্র, সূর্যালোকের মতো উদ্ভাসিত, যেখানে স্থান হবেনা কোনো আঁধারের, কোনো কুৎসিতের!..”
প্রসঙ্গঃ তরুন প্রজন্মের খাদ্যাভ্যাস
"..ঢাকা শহরের অধিকাংশ ছেলে মেয়েদের পছন্দের খাবার তালিকা শুরু এবং শেষ হয় বিভিন্ন ধরনের Fast
Food Items দিয়ে..এগুলোর মধ্যে কিছু নাম
থাকে দেশীয় খাবারের যেগুলো তালিকাটিকে কিছুটা exceptional করে
তোলার জন্য যদিও সেগুলো খেতে তারা মোটেও প্রকৃত অর্থে আগ্রহী নয়..এই পছন্দের খাবারগুলোর বেশীরভাগই chicken
related.. এবং তাই
রাস্তাঘাট, অলিগলি, স্কুল
কলেজ এর সামনে একটুখানি খোলা জায়গাও রূপান্তরিত হচ্ছে Fast Food Shop এ..
এই Fast Food প্রিয়তার কারন অনেকের কাছেই ‘সময় বাঁচানো’..
এইভাবে প্রচুর পরিমানের Poultry Chicken খাওয়ার result হিসেবে এইসব ছেলেমেয়েগুলোও অর্জন করছে Poultry Chicken এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য..একটু জ্বর হলেই টানা ৬-৭ দিন অসুস্থ থাকছে, একটু পরিশ্রম করলেই তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে এবং দিন দিন তারা নিজেদের ভয়ঙ্কর ভাবে অল্প কিছু জায়গাতে সীমাবদ্ধ করে ফেলছে..
সরিষার তেল দিয়ে মাখা পোড়া মরিচ দিয়ে আলুভর্তা, মাসকলাই এর ঘন ডাল, লাউ ডগার সাথে আলু, ঝোল ঝোল করা পুইঁশাক, তেলে ভাজা পাটশাক, কাঁঠালের বিচি দিয়ে পালংশাক, গরম ভাতের সাথে ঘিয়ে ভাজা কুমড়া ফুল, বরবটির সাথে শিং মাছের ঝোল কখনোই তারা খেয়ে দেখেনি। তারা জানেনা এইসব খাবারের স্বাদ চোখ বন্ধ করে দিতে পারে তৃপ্তিতে – অনায়াসে; মুহূর্তের মধ্যে উপলব্ধি করাতে পারে বাংলার ভেঁজা মাটির গন্ধ, মৃদু বাতাসে তিরতির করে কাঁপা কচি বাঁশপাতার গজল, সুদূর থেকে ভেসে আসা চঞ্চল বাছুরের বিরামহীন ডাক আর আমাদের সংস্কৃতির সবুজ শেকড়-কে..
‘স্বাস্থ্য-সম্মত’ শব্দটির ভুল প্রয়োগে তারা অবহেলা করে যাচ্ছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য গুলোকে..তাদের কাছে দুধ খেতে ভাল লাগেনা কিন্তু Coke ভালো লাগে, শুঁটকির ভর্তা ভালো লাগেনা কিন্তু Coleslaw ভালো লাগে..Pizza, Burger, Hotdog, Sandwich, Pastry, Roll তাদের খুব ভালো লাগে কিন্তু ভালো লাগেনা পাটিসাপটা, চিতই, নকশীকাঁটা পিঠা; ভালো লাগেনা মুড়ির মোয়া, নিমকি, খেজুরের রস..
এসকল দেশীয় খাবারের নাম অনেকের কাছেই জঘন্য, বিরক্তিকর, খ্যাঁত এবং Unsmart লাগতে পারে.. পশ্চিমা দেশগুলোর আবিষ্কার এইসব Fast Food Item গুলোকে যে একেবারেই খাওয়া যাবেনা তা কিন্তু নয়; মাঝে মাঝে অবশ্যই খাওয়া যেতে পারে..কিন্তু যে হারে এসব খাওয়ার প্রবণতা এবং দেশীয় খাবার ঘৃণা করার প্রবণতা বাড়ছে- এতে করে একটি কথাই সবাইকে মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে, এসব দেশীয় খাবার আমাদের সংস্কৃতির-ই অংশ..Fast Food Item গুলো নয় এবং আমার মা দেখতে যতই খারাপ হোক না কেন; আমার কাছে সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এবং মমতাময়ী!..”
এই Fast Food প্রিয়তার কারন অনেকের কাছেই ‘সময় বাঁচানো’..
এইভাবে প্রচুর পরিমানের Poultry Chicken খাওয়ার result হিসেবে এইসব ছেলেমেয়েগুলোও অর্জন করছে Poultry Chicken এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য..একটু জ্বর হলেই টানা ৬-৭ দিন অসুস্থ থাকছে, একটু পরিশ্রম করলেই তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে এবং দিন দিন তারা নিজেদের ভয়ঙ্কর ভাবে অল্প কিছু জায়গাতে সীমাবদ্ধ করে ফেলছে..
সরিষার তেল দিয়ে মাখা পোড়া মরিচ দিয়ে আলুভর্তা, মাসকলাই এর ঘন ডাল, লাউ ডগার সাথে আলু, ঝোল ঝোল করা পুইঁশাক, তেলে ভাজা পাটশাক, কাঁঠালের বিচি দিয়ে পালংশাক, গরম ভাতের সাথে ঘিয়ে ভাজা কুমড়া ফুল, বরবটির সাথে শিং মাছের ঝোল কখনোই তারা খেয়ে দেখেনি। তারা জানেনা এইসব খাবারের স্বাদ চোখ বন্ধ করে দিতে পারে তৃপ্তিতে – অনায়াসে; মুহূর্তের মধ্যে উপলব্ধি করাতে পারে বাংলার ভেঁজা মাটির গন্ধ, মৃদু বাতাসে তিরতির করে কাঁপা কচি বাঁশপাতার গজল, সুদূর থেকে ভেসে আসা চঞ্চল বাছুরের বিরামহীন ডাক আর আমাদের সংস্কৃতির সবুজ শেকড়-কে..
‘স্বাস্থ্য-সম্মত’ শব্দটির ভুল প্রয়োগে তারা অবহেলা করে যাচ্ছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য গুলোকে..তাদের কাছে দুধ খেতে ভাল লাগেনা কিন্তু Coke ভালো লাগে, শুঁটকির ভর্তা ভালো লাগেনা কিন্তু Coleslaw ভালো লাগে..Pizza, Burger, Hotdog, Sandwich, Pastry, Roll তাদের খুব ভালো লাগে কিন্তু ভালো লাগেনা পাটিসাপটা, চিতই, নকশীকাঁটা পিঠা; ভালো লাগেনা মুড়ির মোয়া, নিমকি, খেজুরের রস..
এসকল দেশীয় খাবারের নাম অনেকের কাছেই জঘন্য, বিরক্তিকর, খ্যাঁত এবং Unsmart লাগতে পারে.. পশ্চিমা দেশগুলোর আবিষ্কার এইসব Fast Food Item গুলোকে যে একেবারেই খাওয়া যাবেনা তা কিন্তু নয়; মাঝে মাঝে অবশ্যই খাওয়া যেতে পারে..কিন্তু যে হারে এসব খাওয়ার প্রবণতা এবং দেশীয় খাবার ঘৃণা করার প্রবণতা বাড়ছে- এতে করে একটি কথাই সবাইকে মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে, এসব দেশীয় খাবার আমাদের সংস্কৃতির-ই অংশ..Fast Food Item গুলো নয় এবং আমার মা দেখতে যতই খারাপ হোক না কেন; আমার কাছে সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এবং মমতাময়ী!..”
প্রসঙ্গঃ হরতাল
“..আজ ০৫.০৬.১১
সারাদেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ছিলো.. শক্তিশালী বিরোধীদলগুলো তাদের রাজনৈতিক অধিকার আদায় এবং শক্তি প্রদর্শন উপলক্ষে হরতাল
ডেকেছিল সারাদেশ জুড়ে.. বাংলা সংস্কৃতির
এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এই হরতাল এর কারণে
বন্ধ ছিলো দেশের প্রায় সকল school, college, university. বন্ধ ছিলো multinational company গুলোর urgent meetings .. কোটি কোটি টাকার লেনদেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সিংহভাগের উৎস- অসংখ্য পোশাক শিল্প, বন্ধ ছিলো অভিজাত হোটেলগুলো, রঙিন পানশালা, ধনকুবেরদের
দামী গাড়িগুলোর চাকা, উন্নত
দেশগুলোর সাথে আমাদের দরিদ্র দেশের দুপক্ষীয় চুক্তি, চাবি
দেওয়া বুদ্ধিজীবীগুলোর মতবিনিময় সভা, রাজধানী
ঢাকা থেকে
অন্যান্য বিভাগে যাতায়াত করা highway গুলোতে
সদাব্যস্ত Bus, Truck গুলোও
বন্ধ ছিলো..
কিন্ত বন্ধ ছিলোনা ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে জ্ঞান আহরণের ইচ্ছে, বন্ধ ছিলোনা তাদের মনের ভিতর জ্ঞানালোক প্রবেশের জানালা, বন্ধ ছিলোনা আস্তাকুঁড় থেকে টোকাই ছেলেমেয়েগুলোর খাবার খোঁজার প্রয়াস, বন্ধ ছিলোনা রাস্তার ধারে বসবাস করা ভিখারি রোগা শিশুটির ক্ষুধার্ত কান্না, বন্ধ ছিলোনা সন্তানের ঘরে ফেরার পথ চেয়ে উৎকণ্ঠায় থাকা মায়ের প্রতীক্ষা, বন্ধ ছিলোনা সরকারী অফিসের ছাপোষা বৃদ্ধ পিয়নটির ভাঙা সাইকেলটির দু’টি চাকা, বন্ধ ছিলোনা সদ্য প্রেমে পড়া তরুণীটির স্বপ্ন দেখা- তার স্বপ্নের মানুষটিকে সাথে নিয়ে রিকশায় ঘুরে বেড়ানোর নরম, স্নিগ্ধ স্বপ্ন, বন্ধ ছিলোনা কলেজ পড়ুয়া মেয়েটির Close Up-1 তারকা হবার স্বপ্নে আবিষ্ট, হারমোনিয়ামে ছুটে বেড়ানো তার শুভ্র আঙ্গুলগুলো, বন্ধ ছিলোনা সদ্য শেষ হওয়া H.S.C. পরীক্ষার্থীদের ভর্তিযুদ্ধ নিয়ে দুশ্চিন্তা, বন্ধ ছিলোনা photographer হবার কল্পনায় বিভোর কিশোর ছেলেটির mobile phone এর camera এর shutter,বন্ধ ছিলোনা ৮ সদস্য বিশিষ্ট নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারটির কর্তার মাথায় সারামাস পরিবার কিভাবে চলবে তার দুশ্চিন্তা, বন্ধ ছিল না কাক, চড়ুই, দোয়েল, কোকিল, শ্যামা, মোরগ-মুরগির ডাক, গাছ থেকে পাতাদের ঝরে পড়া, রাস্তায় বাতাসের সাথে ধুলোর উড়ে আসা, প্রচণ্ড রোদের দাবদাহের ফাঁকে হঠাৎ একটু শীতল হাওয়া বওয়া, বন্ধু হতে চেয়ে ভীত, সলজ্জ SMS পাঠানো; বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়া সহপাঠিনীর mobile এ..
বন্ধ ছিলোনা অজস্র ছোট ছোট হাতের মুঠোতে বিশাল, সুবিশালকে ধরে রাখার আমৃত্যু অভিলাষ..
বন্ধ ছিলোনা বছরের অধিকাংশ দিন জলে ডুবে থাকা চোখগুলোতে সম্ভাবনাপূর্ণ ভবিষ্যতের কথা ভেবে জেগে উঠা হঠাৎ আলোর ঝলকানি..
..তাহলে এসব হরতাল কি বন্ধ করছে?..
.. এসব হরতাল আসলে একটু একটু করে বন্ধ করে দিচ্ছে রাজনীতিবিদদের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আস্থা অর্জনের পথ, অন্ধ বিশ্বাসে তাদের প্রতি খুলে রাখা- অপেক্ষারত আমাদের কাজল-কালো চোখ, চক্রাকারে সেই চির-পরিচিত দলগুলোর সিংহাসনে আরোহণের সম্ভাবনা এবং একই মুখোশ পরে বারবার ‘যেমন খুশী তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবার নিশ্চয়তা!..”
কিন্ত বন্ধ ছিলোনা ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে জ্ঞান আহরণের ইচ্ছে, বন্ধ ছিলোনা তাদের মনের ভিতর জ্ঞানালোক প্রবেশের জানালা, বন্ধ ছিলোনা আস্তাকুঁড় থেকে টোকাই ছেলেমেয়েগুলোর খাবার খোঁজার প্রয়াস, বন্ধ ছিলোনা রাস্তার ধারে বসবাস করা ভিখারি রোগা শিশুটির ক্ষুধার্ত কান্না, বন্ধ ছিলোনা সন্তানের ঘরে ফেরার পথ চেয়ে উৎকণ্ঠায় থাকা মায়ের প্রতীক্ষা, বন্ধ ছিলোনা সরকারী অফিসের ছাপোষা বৃদ্ধ পিয়নটির ভাঙা সাইকেলটির দু’টি চাকা, বন্ধ ছিলোনা সদ্য প্রেমে পড়া তরুণীটির স্বপ্ন দেখা- তার স্বপ্নের মানুষটিকে সাথে নিয়ে রিকশায় ঘুরে বেড়ানোর নরম, স্নিগ্ধ স্বপ্ন, বন্ধ ছিলোনা কলেজ পড়ুয়া মেয়েটির Close Up-1 তারকা হবার স্বপ্নে আবিষ্ট, হারমোনিয়ামে ছুটে বেড়ানো তার শুভ্র আঙ্গুলগুলো, বন্ধ ছিলোনা সদ্য শেষ হওয়া H.S.C. পরীক্ষার্থীদের ভর্তিযুদ্ধ নিয়ে দুশ্চিন্তা, বন্ধ ছিলোনা photographer হবার কল্পনায় বিভোর কিশোর ছেলেটির mobile phone এর camera এর shutter,বন্ধ ছিলোনা ৮ সদস্য বিশিষ্ট নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারটির কর্তার মাথায় সারামাস পরিবার কিভাবে চলবে তার দুশ্চিন্তা, বন্ধ ছিল না কাক, চড়ুই, দোয়েল, কোকিল, শ্যামা, মোরগ-মুরগির ডাক, গাছ থেকে পাতাদের ঝরে পড়া, রাস্তায় বাতাসের সাথে ধুলোর উড়ে আসা, প্রচণ্ড রোদের দাবদাহের ফাঁকে হঠাৎ একটু শীতল হাওয়া বওয়া, বন্ধু হতে চেয়ে ভীত, সলজ্জ SMS পাঠানো; বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়া সহপাঠিনীর mobile এ..
বন্ধ ছিলোনা অজস্র ছোট ছোট হাতের মুঠোতে বিশাল, সুবিশালকে ধরে রাখার আমৃত্যু অভিলাষ..
বন্ধ ছিলোনা বছরের অধিকাংশ দিন জলে ডুবে থাকা চোখগুলোতে সম্ভাবনাপূর্ণ ভবিষ্যতের কথা ভেবে জেগে উঠা হঠাৎ আলোর ঝলকানি..
..তাহলে এসব হরতাল কি বন্ধ করছে?..
.. এসব হরতাল আসলে একটু একটু করে বন্ধ করে দিচ্ছে রাজনীতিবিদদের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আস্থা অর্জনের পথ, অন্ধ বিশ্বাসে তাদের প্রতি খুলে রাখা- অপেক্ষারত আমাদের কাজল-কালো চোখ, চক্রাকারে সেই চির-পরিচিত দলগুলোর সিংহাসনে আরোহণের সম্ভাবনা এবং একই মুখোশ পরে বারবার ‘যেমন খুশী তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবার নিশ্চয়তা!..”
প্রসঙ্গঃ নামকরণ
“.. গর্ব করার মতো বাঙ্গালীর কোনো কিছুই নেই শুধুমাত্র বাংলা ভাষা ছাড়া।
ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পার হয়ে গেলেও কোনো এক অদৃশ্য কারনে নবজাতকদের নাম
এখনো আরবিতে রাখা হচ্ছে (৪০% মেয়ের নাম ‘জান্নাতুল ফেরদৌস’)। শিশুটি যখন বড়
হচ্ছে, তার নামের অর্থ জিজ্ঞাসা করা হলে সে কিন্তু তখন নামটির বাংলা অর্থই
বলছে!
কেনো তাহলে এই আরবি নাম রাখা? - হয়তোবা সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের জন্য যা প্রমাণ করে আমরা কতোটা লোভী (আরবি নামের উছিলায় সওয়াব কামাব এই আশায়) এবং অলস (ইবাদাত না করেও সওয়াব কামাব এই আশায়)!
গত কয়েক বছর ধরে আবার কারও কারও নাম রাখা হচ্ছে হিন্দি সিরিয়াল, মুভি, গান থেকে আগত কিছু হিন্দি শব্দে। যা প্রমান করে সৃজনশীলতা বলতে আমাদের কিছু নেই এবং আমরা শুধু অন্যের প্রেমেই পড়তে জানি।
২১শে ফেব্রুয়ারী এলেই গলার রগ ফুলিয়ে, বুকের রক্ত ঢেলে দেবার সুযোগ পাচ্ছি না তাই মুখের লালা ঝরিয়ে, উচ্চ মাধ্যমিক ভাষণ দিয়ে আমরা একেকজন ভাষা শহিদদের বংশধর হয়ে যাই; অতঃপর ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে ধর্মের সানগ্লাস চোখে দিয়ে আড়চোখে পান করি হিন্দি সংস্কৃতি, মাংসের দোকান, আকাঙ্ক্ষিত অশ্লীলতা ।
আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম-ও কি বয়ে বেড়াবে আমাদের অজানিত শ্রদ্ধা – আরবি নাম? আমাদের পরশ্রীকাতর ভাল লাগা – হিন্দি নাম? আর অবহেলায় শুধু অভিধানে পড়ে থাকবে আমাদের ভালবাসা – বাংলা নাম?
জাতি হিসেবে আসলেই কী আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি নাকি আধুনিকতার আলো পেছনে রেখে শুধুই দীর্ঘতর হচ্ছে আমাদের দুর্বল, অপুষ্ট, ভীত, বেখাপ্পা জাতির কম্পমান ছায়া?
বাংলা ভাষায় অজস্র সুন্দর শব্দ রয়েছে যেগুলো পৃথিবীর যেকোনো ভাষার শব্দ থেকে কোটিগুণ সুন্দর, অর্থপূর্ণ এবং ছন্দময়। আমরা কি পারিনা আমাদের লোভ এবং পরশ্রীকাতরতাকে ছুড়ে ফেলে পরবর্তী প্রজন্মের নামের মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলার রুপ, রস, গন্ধ, সৌন্দর্যকে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের নোংরা মানসিকতাকে স্নাত করাতে? ..”
কেনো তাহলে এই আরবি নাম রাখা? - হয়তোবা সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের জন্য যা প্রমাণ করে আমরা কতোটা লোভী (আরবি নামের উছিলায় সওয়াব কামাব এই আশায়) এবং অলস (ইবাদাত না করেও সওয়াব কামাব এই আশায়)!
গত কয়েক বছর ধরে আবার কারও কারও নাম রাখা হচ্ছে হিন্দি সিরিয়াল, মুভি, গান থেকে আগত কিছু হিন্দি শব্দে। যা প্রমান করে সৃজনশীলতা বলতে আমাদের কিছু নেই এবং আমরা শুধু অন্যের প্রেমেই পড়তে জানি।
২১শে ফেব্রুয়ারী এলেই গলার রগ ফুলিয়ে, বুকের রক্ত ঢেলে দেবার সুযোগ পাচ্ছি না তাই মুখের লালা ঝরিয়ে, উচ্চ মাধ্যমিক ভাষণ দিয়ে আমরা একেকজন ভাষা শহিদদের বংশধর হয়ে যাই; অতঃপর ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে ধর্মের সানগ্লাস চোখে দিয়ে আড়চোখে পান করি হিন্দি সংস্কৃতি, মাংসের দোকান, আকাঙ্ক্ষিত অশ্লীলতা ।
আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম-ও কি বয়ে বেড়াবে আমাদের অজানিত শ্রদ্ধা – আরবি নাম? আমাদের পরশ্রীকাতর ভাল লাগা – হিন্দি নাম? আর অবহেলায় শুধু অভিধানে পড়ে থাকবে আমাদের ভালবাসা – বাংলা নাম?
জাতি হিসেবে আসলেই কী আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি নাকি আধুনিকতার আলো পেছনে রেখে শুধুই দীর্ঘতর হচ্ছে আমাদের দুর্বল, অপুষ্ট, ভীত, বেখাপ্পা জাতির কম্পমান ছায়া?
বাংলা ভাষায় অজস্র সুন্দর শব্দ রয়েছে যেগুলো পৃথিবীর যেকোনো ভাষার শব্দ থেকে কোটিগুণ সুন্দর, অর্থপূর্ণ এবং ছন্দময়। আমরা কি পারিনা আমাদের লোভ এবং পরশ্রীকাতরতাকে ছুড়ে ফেলে পরবর্তী প্রজন্মের নামের মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলার রুপ, রস, গন্ধ, সৌন্দর্যকে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের নোংরা মানসিকতাকে স্নাত করাতে? ..”
প্রসঙ্গঃ বই পড়া
‘’..আমার পছন্দের মানুষের তালিকাটি বেশ দীর্ঘ কিন্তু তাদেরকে দেবার মতো উপহারের তালিকাটি বেশ ক্ষুদ্র ..
আমার বাবা যদি শুধু আমার ‘বাবা’ হতেন, তাহলে হয়তো আমি তাকে শুভ্র পাঞ্জাবী বা জায়নামাজ বা Body spray বা Wrist watch দিতাম।
আমার মা যদি শুধু আমার ‘মা’ হতেন, তাহলে হয়তো আমি তাকে মৃদু রঙের শাড়ি বা স্কার্ফ বা জায়নামাজ বা আকর্ষণীয় পান রাখার পাত্র দিতাম।
আমার ভাই-বোন যদি শুধু আমার ‘ভাই-বোন’ হতো, তাহলে হয়তো আমি তাদের Latest model এর Mobile Phone বা Music Player দিতাম।
আমার Student রা যদি শুধু আমার ‘Students’হতো, তাহলে হয়তো আমি তাদের tasty Chocolates বা Showpiece দিতাম।
আমার Colleague রা যদি শুধু আমার ‘Colleagues’ হতো, তাহলে হয়তো আমি তাদের Body spray বা Chocolates বা Lighter দিতাম।
বাকি রইলে তুমি। তুমি যদি শুধু ‘তুমি’ হতে, তাহলে হয়তো তোমাকে স্তব্ধ রাতের মতো কাজল বা রঙধনুর মতো বিভিন্ন বর্ণের চুড়ি বাঁ বিস্তীর্ণ প্রান্তরের মতো, আমার দেশের তাঁতিদের সহজ-সরল মানসিকতার মতো স্নিগ্ধ শাড়ি দিতাম।
কিন্তু এরা কেউই তাদের চারপাশের মানুষের কাছে শুধুমাত্র এই পরিচয়গুলোতে সীমাবদ্ধ নয়, তাই তারা আমার কাছে এই এই পরিচয়গুলো থেকেও অনেক বেশি কিছু। আমার অনেক ইচ্ছে এরা এই পরিচয়ের সীমাবদ্ধতা থেকে বের হয়ে আসুক এবং তাদের চারপাশের কাছে এরা পরিচিত হোক শুধুমাত্র একটি মানুষ হিসেবে নয়; একটি পৃথিবী হিসেবে।
আমি তাদেরকে গুচ্ছ গুচ্ছ তারকারাজির মতো, অসংখ্য আদিগন্ত ঝাউবনের মতো প্রচুর বই দিতে চাই। কারন একমাত্র বই-ই পারে একজন মানুষকে একটি পৃথিবীতে রূপান্তরিত করতে। একমাত্র বই-ই আমাদের শেখাতে পারে বাদল ধারার মতো কাঁদতে, পাখির মত প্রকৃত গান গাইতে , আগ্নেয়গিরির মতো ফেটে পড়তে, ভোরের আকাশের মতো অজ্ঞতার আঁধারে ডুবে থাকা মানসিকতায় দ্যুতি ছড়াতে, পাহাড়ের মতো দৃঢ় হতে, ঢেউ এর মতো ছান্দসিক হতে, আকাশের মতো বিশাল হতে, মহাকাশের মতো ক্ষুধার্ত হতে এবং সৃষ্টির মতো সুন্দর হতে।
আমি চাই আমার প্রিয় মানুষগুলোর ভেতর হয়ে উঠুক উদ্ভাসিত, আমি চাই তারা এক একটি সম্পূর্ণ পৃথিবী হয়ে উঠুক, তারা জানুক- আমাদের দারিদ্র্য হচ্ছে আমাদের বাহ্যিকতা আর প্রাচুর্য হচ্ছে আমাদের আহরিত সুন্দর।
আমি চাই আমরা একসঙ্গে বলে উঠি – মিথ্যা বাহ্যিকতা আর নয়; এসো পূঁজি সুন্দরে’ আসুক চোখে জল!
বই পড়া হোক আমাদের অন্যতম অবসর – এই প্রত্যাশায়!..’’
আমার বাবা যদি শুধু আমার ‘বাবা’ হতেন, তাহলে হয়তো আমি তাকে শুভ্র পাঞ্জাবী বা জায়নামাজ বা Body spray বা Wrist watch দিতাম।
আমার মা যদি শুধু আমার ‘মা’ হতেন, তাহলে হয়তো আমি তাকে মৃদু রঙের শাড়ি বা স্কার্ফ বা জায়নামাজ বা আকর্ষণীয় পান রাখার পাত্র দিতাম।
আমার ভাই-বোন যদি শুধু আমার ‘ভাই-বোন’ হতো, তাহলে হয়তো আমি তাদের Latest model এর Mobile Phone বা Music Player দিতাম।
আমার Student রা যদি শুধু আমার ‘Students’হতো, তাহলে হয়তো আমি তাদের tasty Chocolates বা Showpiece দিতাম।
আমার Colleague রা যদি শুধু আমার ‘Colleagues’ হতো, তাহলে হয়তো আমি তাদের Body spray বা Chocolates বা Lighter দিতাম।
বাকি রইলে তুমি। তুমি যদি শুধু ‘তুমি’ হতে, তাহলে হয়তো তোমাকে স্তব্ধ রাতের মতো কাজল বা রঙধনুর মতো বিভিন্ন বর্ণের চুড়ি বাঁ বিস্তীর্ণ প্রান্তরের মতো, আমার দেশের তাঁতিদের সহজ-সরল মানসিকতার মতো স্নিগ্ধ শাড়ি দিতাম।
কিন্তু এরা কেউই তাদের চারপাশের মানুষের কাছে শুধুমাত্র এই পরিচয়গুলোতে সীমাবদ্ধ নয়, তাই তারা আমার কাছে এই এই পরিচয়গুলো থেকেও অনেক বেশি কিছু। আমার অনেক ইচ্ছে এরা এই পরিচয়ের সীমাবদ্ধতা থেকে বের হয়ে আসুক এবং তাদের চারপাশের কাছে এরা পরিচিত হোক শুধুমাত্র একটি মানুষ হিসেবে নয়; একটি পৃথিবী হিসেবে।
আমি তাদেরকে গুচ্ছ গুচ্ছ তারকারাজির মতো, অসংখ্য আদিগন্ত ঝাউবনের মতো প্রচুর বই দিতে চাই। কারন একমাত্র বই-ই পারে একজন মানুষকে একটি পৃথিবীতে রূপান্তরিত করতে। একমাত্র বই-ই আমাদের শেখাতে পারে বাদল ধারার মতো কাঁদতে, পাখির মত প্রকৃত গান গাইতে , আগ্নেয়গিরির মতো ফেটে পড়তে, ভোরের আকাশের মতো অজ্ঞতার আঁধারে ডুবে থাকা মানসিকতায় দ্যুতি ছড়াতে, পাহাড়ের মতো দৃঢ় হতে, ঢেউ এর মতো ছান্দসিক হতে, আকাশের মতো বিশাল হতে, মহাকাশের মতো ক্ষুধার্ত হতে এবং সৃষ্টির মতো সুন্দর হতে।
আমি চাই আমার প্রিয় মানুষগুলোর ভেতর হয়ে উঠুক উদ্ভাসিত, আমি চাই তারা এক একটি সম্পূর্ণ পৃথিবী হয়ে উঠুক, তারা জানুক- আমাদের দারিদ্র্য হচ্ছে আমাদের বাহ্যিকতা আর প্রাচুর্য হচ্ছে আমাদের আহরিত সুন্দর।
আমি চাই আমরা একসঙ্গে বলে উঠি – মিথ্যা বাহ্যিকতা আর নয়; এসো পূঁজি সুন্দরে’ আসুক চোখে জল!
বই পড়া হোক আমাদের অন্যতম অবসর – এই প্রত্যাশায়!..’’
No comments:
Post a Comment