..‘এখন আমার সময় হয়েছে নতুন করে জন্ম নেবার’..
“..বন্ধন ছিঁড়েই প্রথম জন্ম হয়েছিল আমার
মনে নেই তাই তৎকালীন চারপাশ
ওখানে কি রোদ-বৃষ্টি-মেঘ-জোছনা ছিল?
স্পর্শ ছিল? চুম্বন ছিল? উষ্ণতা-আলিঙ্গন ছিল?
মনে নেই, আমার কিছুই মনে নেই!
আমার তখনও জন্ম হয়নি;
আমি তখনও বন্ধনে ছিলাম।
“..বন্ধন ছিঁড়েই প্রথম জন্ম হয়েছিল আমার
মনে নেই তাই তৎকালীন চারপাশ
ওখানে কি রোদ-বৃষ্টি-মেঘ-জোছনা ছিল?
স্পর্শ ছিল? চুম্বন ছিল? উষ্ণতা-আলিঙ্গন ছিল?
মনে নেই, আমার কিছুই মনে নেই!
আমার তখনও জন্ম হয়নি;
আমি তখনও বন্ধনে ছিলাম।
তারপর এলো এলোকেশী নিয়ে পরিচিত সুঘ্রাণ
নরম বুকে মুঠোভরা ঘুম, কপালে সুরক্ষার কাজল টিপ
অর্থহীন শব্দগুচ্ছ – আঞ্চলিক সুরাশ্রয়ী গান
শ্যামলা পায়ের দোলনা - সস্তা শাড়ির বিছানা
দমবন্ধ আলিঙ্গন আবেগি, ডাগর চোখ চাতকী
আমি আটকে যাচ্ছিলাম বাঁধনে – প্রেমিকা প্রথমার
আমাকে আকস্মিক মুক্তি দিল আগরবাতির ধোঁয়া
কিছু বুঝে নেবার আগেই বন্ধন হারালাম
অতঃপর আবদ্ধ হলাম তার চিরায়ত সন্ধানে!
এলো অজস্র কল্লোল, জানালা আড়ে অনুসৃত চোখ
মমতা মাখানো টিফিন বক্স, সুদর্শন পরামর্শ
ঝড়ের মতো উড়ে বেড়াতে লাগলো ঠোঁট-আঙুল
ঝড়ের মতো উড়ে বেড়াতে লাগলো ঠোঁটে-আঙুলে
আমি ভেসে বেড়ালাম – নামে, প্রেমে, ঘামে!
তারপর বর্ষপঞ্জিকার পাতা উড়ে উড়ে
নিয়ে যাচ্ছে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আমার বছর বছর
আত্যন্তিক কেড়ে নিচ্ছে চোখের কাজল
চুলের প্লাবন, ঠোঁটের কাঁপন, রুদ্ধশ্বাস বুকের
আমি বকুলপাপড়ি জড়িয়ে রাখি বুক পকেটে গন্ধ নিয়ে
হাসনাহেনার শিশির জমাই ছড়ানো কথায় চোখের কোণে
কাঁঠালচাঁপা মুঠোতে রেখে ঘড়ির কাঁটায় কৃষ্ণচূড়া
খুব একাকি বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে রাখি স্বর্ণলতা
ঝাঁকড়া চুল-বেতফল-গাঙচিল-মেঘদল
আলিঙ্গনে জড়ায় তবু বাঁধতে পারে না
প্রতিশ্রুত-প্রতীক্ষিত রাখে তবু বাঁধতে পারে না
আমি বাঁধা পড়ি নিরন্তর, আপাদমস্তক
দ্বিতীয়া-তৃতীয়া-চতুর্থী-পঞ্চমী-গণনাতে
আমার বোধ-মনন-স্বপ্ন ঘুরতে থাকে নাচের মুদ্রায়
আমি বাঁধা পড়ে গেছি তোমাতে;
রুপ-রস-বর্ণ-গন্ধ ভুলে
আমি বাঁধা পড়ে আছি তোমাতে!
এখন আমার সময় হয়েছে নতুন করে জন্ম নেবার
প্রথম জন্ম – নাড়ি ছিঁড়ে
দ্বিতীয় জন্ম – নারীকে ছেড়ে
এখন আমার সময় হয়েছে নতুন করে জন্ম নেবার!..”
নরম বুকে মুঠোভরা ঘুম, কপালে সুরক্ষার কাজল টিপ
অর্থহীন শব্দগুচ্ছ – আঞ্চলিক সুরাশ্রয়ী গান
শ্যামলা পায়ের দোলনা - সস্তা শাড়ির বিছানা
দমবন্ধ আলিঙ্গন আবেগি, ডাগর চোখ চাতকী
আমি আটকে যাচ্ছিলাম বাঁধনে – প্রেমিকা প্রথমার
আমাকে আকস্মিক মুক্তি দিল আগরবাতির ধোঁয়া
কিছু বুঝে নেবার আগেই বন্ধন হারালাম
অতঃপর আবদ্ধ হলাম তার চিরায়ত সন্ধানে!
এলো অজস্র কল্লোল, জানালা আড়ে অনুসৃত চোখ
মমতা মাখানো টিফিন বক্স, সুদর্শন পরামর্শ
ঝড়ের মতো উড়ে বেড়াতে লাগলো ঠোঁট-আঙুল
ঝড়ের মতো উড়ে বেড়াতে লাগলো ঠোঁটে-আঙুলে
আমি ভেসে বেড়ালাম – নামে, প্রেমে, ঘামে!
তারপর বর্ষপঞ্জিকার পাতা উড়ে উড়ে
নিয়ে যাচ্ছে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আমার বছর বছর
আত্যন্তিক কেড়ে নিচ্ছে চোখের কাজল
চুলের প্লাবন, ঠোঁটের কাঁপন, রুদ্ধশ্বাস বুকের
আমি বকুলপাপড়ি জড়িয়ে রাখি বুক পকেটে গন্ধ নিয়ে
হাসনাহেনার শিশির জমাই ছড়ানো কথায় চোখের কোণে
কাঁঠালচাঁপা মুঠোতে রেখে ঘড়ির কাঁটায় কৃষ্ণচূড়া
খুব একাকি বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে রাখি স্বর্ণলতা
ঝাঁকড়া চুল-বেতফল-গাঙচিল-মেঘদল
আলিঙ্গনে জড়ায় তবু বাঁধতে পারে না
প্রতিশ্রুত-প্রতীক্ষিত রাখে তবু বাঁধতে পারে না
আমি বাঁধা পড়ি নিরন্তর, আপাদমস্তক
দ্বিতীয়া-তৃতীয়া-চতুর্থী-পঞ্চমী-গণনাতে
আমার বোধ-মনন-স্বপ্ন ঘুরতে থাকে নাচের মুদ্রায়
আমি বাঁধা পড়ে গেছি তোমাতে;
রুপ-রস-বর্ণ-গন্ধ ভুলে
আমি বাঁধা পড়ে আছি তোমাতে!
এখন আমার সময় হয়েছে নতুন করে জন্ম নেবার
প্রথম জন্ম – নাড়ি ছিঁড়ে
দ্বিতীয় জন্ম – নারীকে ছেড়ে
এখন আমার সময় হয়েছে নতুন করে জন্ম নেবার!..”
No comments:
Post a Comment