..‘লজ্জিত নই; আমি হবো খুব বিব্রত’..
“..যদি কখনো এমন হয় – অলৌকিক কোন ক্ষমতাবলে
আমার প্রণয় ঘটনাবলী তোমাকে দেখানো হয়
খুব কি লজ্জিত হবো?
নাকি খুব বিব্রত?
“..যদি কখনো এমন হয় – অলৌকিক কোন ক্ষমতাবলে
আমার প্রণয় ঘটনাবলী তোমাকে দেখানো হয়
খুব কি লজ্জিত হবো?
নাকি খুব বিব্রত?
তুমি জেনে যাবে – বোরকা পরা এক কিশোরীকে আমি
রাত জেগে লিখেছি অসংখ্য চিঠি
রোদ-বৃষ্টি-জোস্না-মেঘ-শীত-গ্রীষ্ম-বসন্ত
সব কিছু নিয়ে লিখেছি সুদীর্ঘ চিঠি অজস্র
একসময় সে বোরকা ছেড়েছিল, আর
ঢাকা পড়ে গিয়েছিল সবুজ-হলুদ-নীল-গোলাপি
বিভিন্ন রঙের হাতে লেখা কাগজে!
তুমি জেনে যাবে – গান পাগল এক তরুণীর
গলায় সুর ছিলনা বলে আমি তাঁর ঠোঁটে এঁকে দিয়েছি
জানা-অজানা সকল গানের স্বরলিপি
এরপর থেকে সে দারুণ গান গায়
শুনেছি এখন নাকি সে জনপ্রিয় গানের পাখি!
তুমি জেনে যাবে – কাজল পছন্দ করে বলে
একজনের দু’চোখে আমি লেপে দিয়েছি আমৃত্যু কাজল,
একজনের শুভ্র বুকে ছুঁয়ে দিয়েছি নীল পদ্মের শতদল,
এক মহিলার অরণ্য প্রিয় বলে
পার্বত্য অঞ্চলে একসাথে দু’জনের শরীরে
রোপণ করেছি বন্য অনুভূতির অভয়ারণ্য
দারুণ অসন্তুষ্ট বিবাহিতা এক রমণীর
অল্প চুলে মুখ ঢেকে বলেছি – ‘এইতো আমার আঁধার মেঘদল’!
তুমি জেনে যাবে – শত-শত নাম
অগণিত অনুভূতির পদাবলী, অলৌকিক কোন ক্ষমতাবলে
যদি তোমাকে দেখানো হয় আমার প্রণয় ঘটনাবলী!
খুব কি লজ্জিত হবো?
নাকি খুব বিব্রত?
লজ্জিত কিংবা বিব্রত কোনটিই নয়,
এরাই আমার বর্ণমালা; শব্দের সঞ্চয়।
তবে,
আমাদের কাটানো মুহূর্তগুলো যদি তোমাকে দেখানো হয়
লজ্জিত নই; আমি হবো খুব বিব্রত
আমরা যখন পাশে বসে জোনাক জ্বালি
দু’হাত ভরে আমরা যখন রৌদ্র কুড়াই
আমরা যখন আলিঙ্গনে মেঘ নামাই
একে অন্যের ভেতরে যখন খুব লুকাই
তোমার দু’চোখ বন্ধ যখন ঈপ্সিত
- যদি তোমাকে দেখানো হয়, আমি হবো খুব বিব্রত;
তখন তুমি দেখতে পাবে আমার দু’টি চোখ
পলক হারিয়ে গাঙচিল দৃষ্টি গেঁথে নিচ্ছে তোমাকে – বিস্মিত;
আমি হবো খুব বিব্রত
জেনে যাবে তুমি - কখন এ দু’চোখ
বিভ্রান্ত এবং অতল-মুগ্ধ,
লজ্জিত নই; আমি হবো খুব বিব্রত!..”
রাত জেগে লিখেছি অসংখ্য চিঠি
রোদ-বৃষ্টি-জোস্না-মেঘ-শীত-গ্রীষ্ম-বসন্ত
সব কিছু নিয়ে লিখেছি সুদীর্ঘ চিঠি অজস্র
একসময় সে বোরকা ছেড়েছিল, আর
ঢাকা পড়ে গিয়েছিল সবুজ-হলুদ-নীল-গোলাপি
বিভিন্ন রঙের হাতে লেখা কাগজে!
তুমি জেনে যাবে – গান পাগল এক তরুণীর
গলায় সুর ছিলনা বলে আমি তাঁর ঠোঁটে এঁকে দিয়েছি
জানা-অজানা সকল গানের স্বরলিপি
এরপর থেকে সে দারুণ গান গায়
শুনেছি এখন নাকি সে জনপ্রিয় গানের পাখি!
তুমি জেনে যাবে – কাজল পছন্দ করে বলে
একজনের দু’চোখে আমি লেপে দিয়েছি আমৃত্যু কাজল,
একজনের শুভ্র বুকে ছুঁয়ে দিয়েছি নীল পদ্মের শতদল,
এক মহিলার অরণ্য প্রিয় বলে
পার্বত্য অঞ্চলে একসাথে দু’জনের শরীরে
রোপণ করেছি বন্য অনুভূতির অভয়ারণ্য
দারুণ অসন্তুষ্ট বিবাহিতা এক রমণীর
অল্প চুলে মুখ ঢেকে বলেছি – ‘এইতো আমার আঁধার মেঘদল’!
তুমি জেনে যাবে – শত-শত নাম
অগণিত অনুভূতির পদাবলী, অলৌকিক কোন ক্ষমতাবলে
যদি তোমাকে দেখানো হয় আমার প্রণয় ঘটনাবলী!
খুব কি লজ্জিত হবো?
নাকি খুব বিব্রত?
লজ্জিত কিংবা বিব্রত কোনটিই নয়,
এরাই আমার বর্ণমালা; শব্দের সঞ্চয়।
তবে,
আমাদের কাটানো মুহূর্তগুলো যদি তোমাকে দেখানো হয়
লজ্জিত নই; আমি হবো খুব বিব্রত
আমরা যখন পাশে বসে জোনাক জ্বালি
দু’হাত ভরে আমরা যখন রৌদ্র কুড়াই
আমরা যখন আলিঙ্গনে মেঘ নামাই
একে অন্যের ভেতরে যখন খুব লুকাই
তোমার দু’চোখ বন্ধ যখন ঈপ্সিত
- যদি তোমাকে দেখানো হয়, আমি হবো খুব বিব্রত;
তখন তুমি দেখতে পাবে আমার দু’টি চোখ
পলক হারিয়ে গাঙচিল দৃষ্টি গেঁথে নিচ্ছে তোমাকে – বিস্মিত;
আমি হবো খুব বিব্রত
জেনে যাবে তুমি - কখন এ দু’চোখ
বিভ্রান্ত এবং অতল-মুগ্ধ,
লজ্জিত নই; আমি হবো খুব বিব্রত!..”
1 comment:
Read আধ্যাত্মিক কবিতা
Post a Comment