..‘তাঁর পরিচয় চাই’..
“..তখন আমার সাহস ছিল
চিৎকার করে বলার – চিনি, চিনি, চিনি
আমি তাঁকে চিনি!
“..তখন আমার সাহস ছিল
চিৎকার করে বলার – চিনি, চিনি, চিনি
আমি তাঁকে চিনি!
আমার কাছে তাঁর পরিচয় অজর-অক্ষয়
প্রিয় মৌমাছি, প্রিয় রাণী
তোমার মধুগৃহ সাজাই আমার অসংখ্য আমি!
সবুজের সাথে যেমন করে অন্ধকার বাঁচে
গাঢ়তর দিনে প্রিয়তম সূর্যের সর্বোচ্চ উড্ডয়নে
সে আর তাঁর পরিচয় এমন অবাক
গ্রহে গ্রহে যেমন প্রাণের ভেদ
সুতোয় জড়ানো সূত্র, আমার প্রয়োজনে।
চেয়েছি বলে গাঢ়রঙে রাঙা ঠোঁট
চাইনি বলে সমস্ত ছেড়েই আবির্ভাব যার
একবার ফুলে-ফলে সাজানো
আরেকবার শুধুই সুন্দর – পাতাবাহার!
আমাদের অন্তর্গত পাখিদের অনবরত কিচিরমিচির
প্রাত্যহিকতায় ক্লান্ত মৌখিক পেশী
এইখানে আমাদের বিশ্রাম, নৈশব্দের নাম দেই শিশির!
সরল বলে কিছু নেই; যেমন নেই সহজ -
কাকে বলে সন্ধ্যা, কাকে বলে রাত্রি?
দৃষ্টিগ্রাহ্য তারা পাই খাঁজকাটা
হৃদয়ের নিচে এক টলটলে হ্রদ!
তাতে এক মাঝি হাঁক দেয়,
অহর্নিশ এপার-ওপার করি যাত্রী।
সন্ধ্যা ঘরে ফেরে জলে ধুয়ে পা
সব কটা খিল এঁটে রাত্রি ঘুমায়
উত্থান অতঃপর দ্রুততায় বহুমাত্রিক পতন
বাঘ চোখ গায়ে এঁকে কিশোরী জোসনায়।
মৃদু কড়া নাড়া থেকে বজ্র নিনাদ
জেগে উঠে বসে নিষ্ঠুর ঘুমাই
আমার পরিচয় জানে বাতাস -
সে কে? তাঁর পরিচয় চাই!
কখনও চেতনা, বুদ্ধি, মন ও মুখোশের দেবী
কখনও মধুগৃহে আর্ত রাণী মৌমাছি
ভেজা আর স্নানের পার্থক্য জানা হলে -
পরিচয় ভুলে যাই - চেনা হলেই বাঁচি।
সুবর্ণা সে বসন্ত আমার, আমার যৌবন
তাকে বলি রাত্রির শিশিরে সাজানো সুন্দর সবুজ
সম্মুখে হাঁটুগেড়ে অনুনয় করি,
আধখানা দিয়েছে পরিচয়, আধখানার নাই খোঁজ।
বাজপাখি সমাজ মাটিতে চোখ
কোথাও নেই একজোড়া ছেঁড়া স্যান্ডেল
তাঁর নগ্ন পায়ে শুধু শোক!..’’
প্রিয় মৌমাছি, প্রিয় রাণী
তোমার মধুগৃহ সাজাই আমার অসংখ্য আমি!
সবুজের সাথে যেমন করে অন্ধকার বাঁচে
গাঢ়তর দিনে প্রিয়তম সূর্যের সর্বোচ্চ উড্ডয়নে
সে আর তাঁর পরিচয় এমন অবাক
গ্রহে গ্রহে যেমন প্রাণের ভেদ
সুতোয় জড়ানো সূত্র, আমার প্রয়োজনে।
চেয়েছি বলে গাঢ়রঙে রাঙা ঠোঁট
চাইনি বলে সমস্ত ছেড়েই আবির্ভাব যার
একবার ফুলে-ফলে সাজানো
আরেকবার শুধুই সুন্দর – পাতাবাহার!
আমাদের অন্তর্গত পাখিদের অনবরত কিচিরমিচির
প্রাত্যহিকতায় ক্লান্ত মৌখিক পেশী
এইখানে আমাদের বিশ্রাম, নৈশব্দের নাম দেই শিশির!
সরল বলে কিছু নেই; যেমন নেই সহজ -
কাকে বলে সন্ধ্যা, কাকে বলে রাত্রি?
দৃষ্টিগ্রাহ্য তারা পাই খাঁজকাটা
হৃদয়ের নিচে এক টলটলে হ্রদ!
তাতে এক মাঝি হাঁক দেয়,
অহর্নিশ এপার-ওপার করি যাত্রী।
সন্ধ্যা ঘরে ফেরে জলে ধুয়ে পা
সব কটা খিল এঁটে রাত্রি ঘুমায়
উত্থান অতঃপর দ্রুততায় বহুমাত্রিক পতন
বাঘ চোখ গায়ে এঁকে কিশোরী জোসনায়।
মৃদু কড়া নাড়া থেকে বজ্র নিনাদ
জেগে উঠে বসে নিষ্ঠুর ঘুমাই
আমার পরিচয় জানে বাতাস -
সে কে? তাঁর পরিচয় চাই!
কখনও চেতনা, বুদ্ধি, মন ও মুখোশের দেবী
কখনও মধুগৃহে আর্ত রাণী মৌমাছি
ভেজা আর স্নানের পার্থক্য জানা হলে -
পরিচয় ভুলে যাই - চেনা হলেই বাঁচি।
সুবর্ণা সে বসন্ত আমার, আমার যৌবন
তাকে বলি রাত্রির শিশিরে সাজানো সুন্দর সবুজ
সম্মুখে হাঁটুগেড়ে অনুনয় করি,
আধখানা দিয়েছে পরিচয়, আধখানার নাই খোঁজ।
বাজপাখি সমাজ মাটিতে চোখ
কোথাও নেই একজোড়া ছেঁড়া স্যান্ডেল
তাঁর নগ্ন পায়ে শুধু শোক!..’’
No comments:
Post a Comment